দেশে তেল মজুত আছে এক মাসের

জ্বালানি তেল
জ্বালানি তেল   © সংগৃহীত

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিজ্ঞপ্তি ভাইরাল হয়েছে। সেখানে লিখা ছিলো জ্বালানি ব্যবহার সাশ্রয়ে মোটরসাইকেলে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকার এবং গাড়িতে সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকার ডিজেল বা অকটেন নেওয়া যাবে। রাজধানীর একটি তেলের পাম্পে টানিয়ে রাখা ছিলো। এ বিষয়টি নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়িয়েছে চারিদিকে। তবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) বলছে, দেশে তেলের সংকট নেই। যা মজুত আছে তাতে আগামী এক মাস চলা যাবে। আরও ছয় মাসের তেল অর্ডার (আমদানির আদেশ) করা আছে।

বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জ্বালানি সরবরাহ ও মজুতের বিষয়ে বিপিসি চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে আগামী ৩২ দিনের ডিজেল এবং ৯ দিনের অকটেন মজুত আছে। এছাড়াও ৬ মাসের তেল আমদানি নিশ্চিত করা আছে।

এ বি এম আজাদ আরও বলেন, ৪ লাখ ৩১ হাজার ৮৩৫ মেট্রিক টন ডিজেল দেশে মজুত রয়েছে। আর অকটেন রয়েছে ১২ হাজার ২৩৮ মেট্রিক টন। আগামী ৩০ জুলাই দেশে পৌঁছাবে আরও ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল।

তিনি বলেন, দেশে ৪৪ দিনের জেট ফুয়েল এবং ৩২ দিনের ফার্নেস অয়েল মজুত আছে। ফলে গ্রাহকদের তেল কম কেনার কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বিপিসি পরিচালক খালিদ আহম্মেদ বলেন, ১৭০ ডলারের ডিজেল আমরা পাচ্ছি ১৩১ ডলারে। পরিস্থিতি এখনও আমাদের অনুকূলে। তাই ভীতসন্ত্রস্ত হওয়ার বা অতিরিক্ত কিনে মজুত করার কোনো কারণই নেই।


সর্বশেষ সংবাদ