রোহিঙ্গাদের স্কুল বন্ধ করলো সরকার

কেয়াফুরি স্কুল
কেয়াফুরি স্কুল  © সংগৃহীত

মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর অত্যাচারে দেশ ত্যাগ করে বাংলাদেশে শরণার্থী হওয়া রোহিঙ্গাদের স্কুল কেয়াফুরি বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। কক্সবাজারের শরাণার্থী শিবিরে এই বেসরকারি স্কুলটি পরিচালিত হতো। স্কুলে মিয়ানমারের পাঠ্যক্রমে শিক্ষা দেয়া হতো। রোহিঙ্গাদের প্রয়াত নেতা মুহিবুল্লাহ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। এদিকে স্কুলের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ায় হাজার হাজার রোহিঙ্গা শিক্ষার্থী বিপাকে পড়েছেন। তাদের শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। খবর এএফপির।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ডিসেম্বর থেকে সরকার রোহিঙ্গাদের প্রতিষ্ঠিত স্কুলগুলো বন্ধ করতে শুরু করে এবং গত সপ্তাহের শেষের দিকে কেয়াফুরি স্কুলটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, যথাযথ অনুমতি ছাড়া কেউ স্কুল খুলতে ও পরিচালনা করতে পারে না। এটা অগ্রহণযোগ্য।

কেয়াফুরি স্কুলটিতে মাধ্যমিক স্তুরে প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থী ছিলেন। সচ্ছল রোহিঙ্গা পরিবার ও শিক্ষকদের অর্থায়নে স্কুলটি পরিচালিত হতো। ১৯ বছর বয়সী স্কুলের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মোশাররফ জানান, তাদের চূড়ান্ত পরীক্ষার মাঝামাঝি সময়ে স্কুলটি বন্ধ করে দেয়া হয়। তিনি ডাক্তার হতে চেয়েছিলেন।

আরও পড়ুন- রমজানে স্কুল বন্ধ রাখার রিটের শুনানি হতে পারে বুধবার

সর্বশেষ ২০১৭ সালে বাংলাদেশে আশ্রয়ের খোঁজে আসে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। এর আগেও কয়েক ধাপে রোহিঙ্গারা এদেশে আসে। সরকারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারকে বারবার উদ্যোগ নিতে বলা হলেও তারা কার্যকর আগ্রহ দেখায়নি। পরে সরকারের পক্ষ থেকে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুর্নবাসনের উদ্যোগ নেয়া হয়। নৌ-বাহিনীর সহায়তায় ভাসানচরে দুই দফায় রোহিঙ্গাদের নেয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানে তারা বসবাস করছে। রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।


সর্বশেষ সংবাদ