স্কুলছাত্রী-তরুণীর প্রেম, বলছেন ‘বাঁচলেও ওর সঙ্গে, মরলেও ওর সঙ্গে’

স্কুলছাত্রীর বাসায় ওই তরুণী
স্কুলছাত্রীর বাসায় ওই তরুণী   © সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টিকটকে পরিচয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে বন্ধুত্ব। বন্ধুত্বের সম্পর্ক এক পর্যায়ে প্রেমে গড়িয়েছে। ঘটনাটি টাঙ্গাইলের এক স্কুলছাত্রী ও নোয়াখালীর এক তরুণীর মধ্যকার।

মঙ্গলবার স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, প্রেমের টানে সোমবার নোয়াখালী থেকে টাঙ্গাইল এসেছেন ওই তরুণী। ওই তরুণীর নাম বিলকিস। টাঙ্গাইলের ওই স্কুলছাত্রী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

বিলকিস জানান, ফেসবুক ও টিকটকে তাদের উভয়ের পরিচয় হয়েছে। এরপর ধীরেধীরে পরিচয় বাড়তে থাকে। প্রায় দুই বছর যাবত তারা হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ রাখছেন। এক অপরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। তবে তাদের এই সম্পর্ক কোন পরিবারই মানছে না।

তিনি আরও জানান, ওরে আমি ভালোবাসি। তাই আমি চলে আসছি। আমার ওর কাছে আসাতে পরিবার রাজি ছিল না। তাই পালিয়ে আসছি। এখন ওর পরিবার রাজি থাকলে আমরা অন্য কোথাও গিয়ে বসবাস করবো।

স্কুলছাত্রী জানান, তাকে নিয়ে আমি ঢাকায় গিয়েছিলাম। ঢাকায় আমরা দেখা করেছি। একসঙ্গে ছিলাম। পরে পরিবার গিয়ে আমাদেরকে আলাদা করছে। এরপর বাসা থেকে আমার মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। কিছুদিন পর আবার মোবাইল ফেরত দিলে তাকে আমার বাসায় আসতে বলছি।

আরও পড়ুন : প্রেমিকার ধর্ষণ মামলায় বিয়ে করতে যাওয়ার পথে বর গ্রেফতার

এ স্কুলছাত্রী আরও জানায়, আমাদের কোনো সামাজিক স্বীকৃতি নেই। তাও আমি তার সঙ্গেই থাকতে চাই। বাঁচলেও ওর সঙ্গে, মরলেও ওর সঙ্গে। কেউ যদি আমাদের মেরেও ফেলতে চায়, তবে একসঙ্গেই মারতে হবে। বাঁচতে হলে একসঙ্গেই বাঁচবো।

মেয়েটির মা জানান, তাদের জন্য মানুষ বাড়িতে ভিড় জমাইতেছে। ওই মেয়ের বাসায় খবর দিচ্ছি। আসলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে, ‘দুই নারীর মধ্যে প্রেম’ বিষয়টি পুরো এলাকা জুড়ে ভাইরাল হয়ে গেছে। এ ঘটনায় অনেকেই নেতিবাচক মন্তব্য করছেন। স্থানীয়রা এ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন।

তপন নামে এক তরুণ জানান, এমন ঘটনা কখনো শুনি নাই। তাই নিজ চোখে দেখতে আসছি। দেখে অবাক হলাম।

প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন ৭৫ বছরের বানুবিবি। তিনি বললেন, মাইয়া-মাইয়া প্রেমে পরছে, কহনও দেহি নাই, হুনিও নাই। খোদাই জানে কি দিন কাল পরছে।


সর্বশেষ সংবাদ