‘এক শিক্ষা বছরে করোনাকালীন পড়ার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা যাবে না’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২২, ০৩:১৯ PM , আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২২, ০৩:৫৮ PM
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এক শিক্ষা বছরে করোনাকালীন পড়ার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা যাবে না। এই ঘাটতি পোষাতে সরকার আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে। তিনি করোনাকালীন এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ সবার সহযোগীতা কামনা করেন।
আজ শনিবার (১৯ মার্চ) টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার পথে বরিশালে যাত্রা বিরতির সময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
এসময় শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যে পুরোদমে পাঠদান শুরু হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে অনলাইনে ৬০ ভাগ এবং অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে ৯৩ ভাগ শিক্ষার্থীকে লেখাপড়ায় সংযুক্ত রাখা হয়েছে।
করোনার কারণে প্রথম দফায় প্রায় দেড় বছর ও পরের ধাপে এক মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। এসময় স্বশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি শিক্ষার্থীরা। অনলাইন ও টিভিতে ক্লাস চললেও ইন্টারনেট সেবা, ডিভাইস সংকট ও বিদ্যুতের সমস্যার কারণে অনেক শিক্ষার্থী নিয়মিত পড়াশোনা করতে পারেনি। যদও সরকার এসাইনমেন্ট দিয়ে ঘাটতি কিছুটা কমিয়ে আনার চেষ্টা করেছে।
আরও পড়ুন- বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে ভাবছে মন্ত্রণালয়
ক্লাস ও পরীক্ষা নিয়মিত না হওয়ায় ২০২০ সালে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়নি সরকার। এই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের অটোপাস দেয় সরকার। এসএসসি ও অষ্টম শ্রেণীর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে তাদের নম্বর দেয়া হয়। পরের বছর এসএসসি ও এইচএসসি সংক্ষিপ্তি সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হয়। তিনটি বিষয়ের মোট ছয়টি পত্রে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেন। বাকী বিষয়গুলোতে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে নম্বর দেয়া হয়। তবে সাবজেক্ট ম্যাপিং পদ্ধতিতে সন্তুষ্ট নয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তারা বলছেন, এর মাধ্যমে একজন ছাত্রকে মূল্যায়ন করা যায় না। তারা এই পদ্ধতির বাতিল চেয়েছেন। উল্লেখ্য, আগামীর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায়ও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে।