স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন বিনা পারিশ্রমিকে কিডনি প্রতিস্থাপনকারী সেই ডাক্তার

ডা. কামরুল হাসান
ডা. কামরুল হাসান  © সংগৃহীত

এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ১০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠান। আজ মঙ্গলবার ( ১৫ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। চিকিৎসা বিদ্যায় অবদান রাখার জন্য এবছর স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন বিনা পারিশ্রমিকে কিডনি প্রতিস্থাপন করে আলোচনায় আসা ডা. কামরুল হাসান।

অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান ঢাকা মেডিকেল কলেজের ৪০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। ১৯৯০ সালে স্বর্ণপদকসহ এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন ডা. কামরুল। ১৯৯৫ সালে এফসিপিএস এবং ২০০০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইউরোলজীতে এমএস ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৩ সালে ইংল্যান্ডের রয়েল কলেজ থেকে তিনি এফআরসিএস ডিগ্রি অর্জন করেন।

আরও পড়ুন- স্বাধীনতা পদক পেলেন ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তি 

অধ্যাপক ড. কামরুল ১৯৯৩ সালে স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগ দেন। তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। প্রথমবারের মতো সফলভাবে কিডনি প্রতিস্থাপনের কাজ করেন ২০০৭ সালে। ২০১৪ সালে সরকারি চাকরি ছেড়ে প্রতিষ্ঠা করেন সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজেস (সিকেডি) অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতাল। রাজধানীর শ্যামলীতে হাসপাতালটির অবস্থান। এই হাসপাতালেই তিনি বিনা পারিশ্রমিকে এক হাজার কিডনি প্রতিস্থাপনের মাইলফলক স্পর্শ করেন। হাসপাতালটি তিনি মূলত গরীব রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন। নির্ধারিত ন্যূনতম খরচ ছাড়া তিনি কোনো ফি নেন না। করোনা মহামারির সময় গণস্বাস্থ্য ছাড়া অন্য কোনো হাসপাতাল কিডনি ডায়ালাইসিসের চিকিৎসা দিচ্ছিলো না তখনও সিকেডি কিডনি রোগীদের সবধরনের চিকিৎসা দিয়ে গেছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ডা. কামরুল তিন কন্যা সন্তানের জনক।

স্বাধীনতা পদক দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। ১৯৭৭ সাল থেকে সরকার এই পদক দিচ্ছে। প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২৬ মার্চ এ পদক দেওয়া হয়। স্বাধীনতা পদক হিসেবে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ৫ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।


সর্বশেষ সংবাদ