রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক  © সংগৃহীত

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। তার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। আজ বুধবার (৯ মার্চ) জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মহাপরিচালকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

এসময় মন্ত্রী বলেন, দেশে মোটা চালের দাম বাড়েনি। সরু চালের দাম বেড়েছে। কারণ মানুষের ইনকাম বাড়ায় সরু চাল খাওয়ার প্রবণতাও বেড়েছে। মোটা চাল এখনো ৪০-৪২ টাকা।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের কারণে মানুষের একটু কষ্ট হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। বাংলাদেশেও পণ্যের দাম বাড়ছে। তবে আমাদের যে খাদ্য মজুত এবং উৎপাদন তাতে খাদ্যের কোনো সংকট বা হাহাকার হবে না। মার্চ-এপ্রিলের দিকে চালসহ নতুন খাদ্যশস্য বাজারে আসবে। তখন সমস্যা আরও কেটে যাবে।

আরও পড়ুন- তরুণরা কেন জন্মভূমি ছেড়ে চলে যাচ্ছে?

তিনি বলেন, রাশিয়া এবং ইউক্রেন গমের বেশ বড় যোগানদাতা। যুদ্ধের প্রতিকূল প্রভাব ইতোমধ্যে দেখা যাচ্ছে বাজারে। সারের দামও অনেক বেড়ে গেছে। এসবের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে।

এদিকে বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে নাজিরশাইল চালের দাম ৭৮-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট ৬৮-৭০ টাকা, ফাইজাম ৬৩-৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিন তেলের দাম আকাশচুম্বী। প্রতি লিটার তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে। এছাড়া সবজির বাজারেও দাম চড়া। ৬০-৭০ টাকার নিচে সবজি নাই বললেই চলে।

আরও পড়ুন- ‘৫ মিনিট দেরি হলে বেঁচে থাকতাম না’

ব্যবসায়ীরা জানান, মজুতদারের কারণে খাদ্যপণ্যের দাম অনেক বেড়েছে। ১৩ টাকার সবজি হাত বদল হয়ে গ্রাহকের কাছে আসতে আসতে সেটির দাম হয়ে যায় ৭০-৮০ টাকা। দাম বাড়ার কারণে সবচেয়ে কষ্টে আছে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো।


সর্বশেষ সংবাদ