‘ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়ে না পাঠালে পূর্বাচল মেলা দেখতে যাবে’

অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম
অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম  © ফাইল ছবি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, প্রখ্যাত ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম। শনিবার (২৯ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পক্ষে তার যুক্তি তুলে ধরেন।

অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা যদি আমাদের ছেলে-মেয়েদের স্কুলে না পাঠাই তাহলে ওরা পূর্বাচলের মেলা দেখতে চলে যাবে। কেউ কেউ চলে যাবে কক্সবাজারে। আর অনেকে যাবে শপিংমলে। এখন তাহলে বাচ্চাদের আমরা বিদ্যালয়ে পাঠাবো না পূর্বাচল মেলাতে পাঠাবো না শপিংমলে পাঠাবো না কক্সবাজারে পাঠাবো- এটাই কিন্তু আসল সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপার।

আরও পড়ুন: সময় বাড়ছে না বাণিজ্য মেলার

ইতোমধ্যেই স্কুল-কলেজগুলোতে ১৬ দিনের (৬ ফেব্রুয়ারি) বন্ধ চলমান রয়েছে। বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সশরীরে ক্লাস। বন্ধ থাকবে পরীক্ষাও। তবে এ সময়ে প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনলাইন ক্লাস চলবে।

এর আগে একই কারণে ২০২০ সালের মার্চে প্রথমে ১৫ দিনের ছুটি দেওয়া হয়েছিল। পরে তা পর্যায়ক্রমে বাড়ানোর কারণে ৫৪১ দিনে গড়িয়েছিল। তখন শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের রেকর্ড ছিল না। আর এখন সংক্রমণ শুধু শিশুদের মধ্যেই নয়, বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে উদ্বেগজনক হারে ছড়াচ্ছে।

আরও পড়ুন: বাণিজ্যমেলায় যাবেন যেভাবে

নতুন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির বিষয়ে কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশ ছিল কিনা জানতে চাইলে একটি জাতীয় দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক নজরুল বলেন, এটা সরকার নিজেই করেছে। আমার মনে হয়, অবস্থাটা পর্যবেক্ষণ করার জন্য এটা করা হয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। এসব নিয়ে কয়েক দিন পর আবার আমাদের বসার কথা রয়েছে।

মেলা-শপিংমল-রেস্তোরাঁসহ সবকিছু খোলা রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, এ নিয়ে খুব কথাবার্তা হচ্ছে। আমাদের আলোচনার মধ্যেও এসেছে। শিশুদের কথাই যদি চিন্তা করি, তাহলে তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা স্কুল। আমরা যদি স্কুল খোলা রাখি, তাহলে বাচ্চারা অন্তত ভালো পরিবেশে থাকতে পারে।

আরও পড়ুন: আগামী দুই সপ্তাহ স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা

বিএসএমএমইউর সাবেক এ উপাচার্য আরও বলেন, স্কুল বন্ধ করে দিলে বাচ্চারা মেলায় যাবে। বেড়াতে যাবে। হোটেল-রেস্তোরাঁয় যাবে। সে ক্ষেত্রে আরো ক্ষতি হবে। ফলে বাচ্চাদের স্কুল খোলা রাখাই ভালো। কারণ স্কুলে স্বাস্থ্যবিধি ঠিকঠাক রাখার একটা সুযোগ আছে। যেটা মেলায়, শপিং মলে বা রেস্তোরাঁয় নেই। তাই ব্যক্তিগতভাবে আমি স্কুল খোলা রাখার পক্ষে। সেই সঙ্গে দ্রুত শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনাও জরুরি।


সর্বশেষ সংবাদ