এবার কোন দেশে রোজার সময় বেশি, কোন দেশে কম
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫৩ PM , আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৯ AM

বিশ্বজুড়ে ১০০ কোটিরও বেশি মুসলিম এবারের রমজান মাসে রোজা পালন করছেন। প্রতিবছর প্রায় ১০ দিন এগিয়ে আসে পবিত্র রমজান, ফলে একেক বছর একেক ধরনের আবহাওয়ায় রোজা রাখতে হয় মুসলমানদের।
এবারের রমজানে বিশ্বের প্রায় অর্ধেকের বেশি অংশে তীব্র গরমের মধ্যে রোজা শুরু হয়েছে। মাসের শেষের দিকে কিছু অঞ্চলে শীতল আবহাওয়া বিরাজ করবে। গ্রীষ্মকালে দিন দীর্ঘ হওয়ায় রোজার সময় বেশি হয়, অন্যদিকে শীতকালে দিন ছোট হওয়ায় সময় কমে আসে।
এবার সবচেয়ে বেশি সময় রোজা রাখতে হচ্ছে আইসল্যান্ড ও গ্রিনল্যান্ডের মতো উত্তরাঞ্চলীয় দেশগুলোর মুসলমানদের। সেখানে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের ব্যবধান বেশি হওয়ায় রোজার সময় ১৬ ঘণ্টার বেশি হচ্ছে। অন্যদিকে, দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলোর মুসলিমরা অপেক্ষাকৃত কম সময় রোজা রাখছেন। নিউজিল্যান্ড ও চিলির মতো দেশে রোজার সময় ১৩ ঘণ্টার মতো।
প্রতিবছর রোজার সময় বদলে যায়, কারণ ইসলামিক বর্ষপঞ্জি চান্দ্র মাসের ওপর নির্ভরশীল। ফলে রমজান প্রতি বছর প্রায় ১০ দিন এগিয়ে আসে। এভাবে চলতে থাকলে ২০৩০ সালে এক বছরে দুবার রমজান পড়—একবার জানুয়ারিতে, আরেকবার ডিসেম্বরে।
এ বছর বিশ্বের বিভিন্ন শহরে রোজার সময় গুলো দেওয়া হল:
সবচেয়ে বেশি সময়: নুউক (গ্রিনল্যান্ড) ও রেইকইয়াভিক (আইসল্যান্ড)—১৬ ঘণ্টা; হেলসিঙ্কি (ফিনল্যান্ড), অসলো (নরওয়ে), স্টকহোম (সুইডেন), গ্লাসগো (স্কটল্যান্ড)—১৫ ঘণ্টা
মধ্যম মাত্রার সময়: বার্লিন (জার্মানি), লন্ডন (যুক্তরাজ্য), নিউইয়র্ক (যুক্তরাষ্ট্র), প্যারিস (ফ্রান্স), মস্কো (রাশিয়া), আমস্টারডাম (নেদারল্যান্ডস)—১৪ ঘণ্টা
সবচেয়ে কম সময়: ঢাকা (বাংলাদেশ), নয়াদিল্লি (ভারত), ইসলামাবাদ (পাকিস্তান), রিয়াদ (সৌদি আরব), কায়রো (মিসর), কুয়ালালামপুর (মালয়েশিয়া), জোহানেসবার্গ (দক্ষিণ আফ্রিকা), ক্রাইস্টচার্চ (নিউজিল্যান্ড)—১৩ ঘণ্টা
এ বছরের রোজার সময়ের পরিবর্তন উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোর জন্য স্বস্তিদায়ক। আগামী কয়েক বছর রোজার সময় আরও কমতে থাকবে, যা ২০৩১ সালে সবচেয়ে কম হবে। এরপর আবার সময় বাড়তে শুরু করবে।