সিটি করপোরেশন হচ্ছে বগুড়া, আলোচনায় বিমানবন্দরও
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩২ PM , আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩৮ PM

বগুড়াকে সিটি করপোরেশন করার প্রস্তাব দিয়েছেন জেলার প্রশাসক (ডিসি) হোসনা আফরোজা। এই প্রস্তাবনায় ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। একই সঙ্গে এই জেলায় বিমানবন্দর চালুর বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন বগুড়ার ডিসি।
এ বিষয়ে বগুড়ার ডিসি হোসনা আফরোজা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমি অনেকগুলো প্রস্তাব দিয়েছিলাম। এর মধ্যে সিটি করপোরেশনের বিষয়টি রাখা হয়েছে। এছাড়া বগুড়ায় বিমানবন্দর চালুর বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান কথা বলবো। আশা করছি এ দুটি বিষয় খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে।’
বগুড়াকে সিটি করপোরেশন করার প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলে দ্রুত বগুড়াকে সিটি করপোরেশনের ঘোষণা দিতে প্রস্তুত রয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ বলে জানা গেছে।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে স্থানীয় সরকার বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, ‘বগুড়া সিটি করপোরেশন হওয়ার যোগ্যতা অনেক আগেই অর্জন করেছে। তবে নানা কারণে এই জেলাকে সিটি করপোরেশন ঘোষণা করা যায়নি। এবারের সম্মেলনে এ বিষয়ে প্রস্তাবনা ওঠায় এবার সিটি করপোরেশন ঘোষণা হতে পারে।’
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দেওয়া প্রস্তাবে বগুড়াকে সিটি করপোরেশন করার পক্ষে যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছে, ‘বিদ্যমান আইন অনুযায়ী পৌর এলাকার জনসংখ্যা অন্তত চার লাখ হতে হবে। বগুড়া পৌরসভার বাসিন্দা রয়েছে সাড়ে চার লাখ। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে তিন হাজারজন প্রয়োজন হলেও বগুড়া শহরে আছে পাঁচ হাজার ৮৪৩ জন।
আয়তন হতে হয় কমপক্ষে ২৫ বর্গকিলোমিটার। কিন্তু পৌর এলাকার আয়তন ৬৯.৫৬ বর্গকিলোমিটার। বগুড়া শহরটি ব্যবসা প্রধান ও শিল্পসমৃদ্ধ হওয়ায় স্থানীয় আয় পাঁচ কোটি টাকার বেশি। এ ছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে এই পৌরসভার বার্ষিক আয় ৪৬ কোটি টাকার বেশি, যা সিটি করপোরেশন হওয়ার শর্তের ১০ টাকার ন্যূনতম সীমা অতিক্রম করে।
প্রস্তাবিত এলাকায় শিল্পপ্রতিষ্ঠান থাকতে হবে এবং তা বাণিজ্যিক হতে হবে। বগুড়ায় বিসিক শিল্পনগরী রয়েছে। ছোট, মাঝারি ও বড় মিলে প্রায় ২০ হাজার শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যা বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। প্রস্তাবিত এলাকার ভৌত অবকাঠামো সুবিধাদি থাকতে হবে, যা ভবিষ্যতে সম্প্রসারণযোগ্য। প্রায় এক হাজার ৩৪০ কিলোমিটার রাস্তা, এক হাজার ২১০ কিলোমিটার ড্রেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজসহ চারটি সরকারি কলেজ, জিয়াউর রহমান মেডিক্যালসহ দুইটি সরকারি হাসপাতাল, ব্যাংক, বীমা, শপিং মল, ফাইভ ও ফোরস্টার হোটেলসহ বিস্মৃত অবকাঠামো রয়েছে, যা সমপ্রসারণযোগ্য।’