এনসিটিবিতে অনিয়ম খুঁজতে দুদকের টিম

টিডিসি সম্পাদিত
টিডিসি সম্পাদিত

আওয়ামী লীগের আমলে ভারতীয় কোম্পানিকে অবৈধভাবে পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয়ে আসে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) টিম।

আজ রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংস্থাটির টিম এ-সংক্রান্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আসে। অভিযান পরিচালনাকারী দলে ছিলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. তাপস ভট্টাচার্য, উপসহকারী পরিচালক মো. রোকনুজ্জামান। 
 
দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. রোকনুজ্জামান দ্যা ডেইলি ক্যম্পাসকে বলেন, ‘আওয়ামী সরকারের আমলে কিছু দুর্নীতি নিয়ে আমরা এনসিটিবিতে তথ্য যাচাই করতে এসেছি। চেয়ারম্যানসহ যারা আছেন, তাদের বেশির ভাগ সম্প্রতি নিয়োগ পেয়েছেন। যেসব নথি প্রয়োজন, সেগুলোর তেমন কিছু পাইনি। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি কোম্পানি অনিয়ম খতিয়ে দেখতে এনসিটিবির কাছে আবেদন করেছে। এনসিটিবি আমাদের সেই আবেদনের কপি প্রদান করেছে। এটা নিয়ে আমাদের অনুসন্ধান সম্পন্ন হবে না। আমাদের সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু নথি দেখার প্রয়োজন। কাজ চলমান থাকবে।’

NCTB Inner

এনসিটিবিতে অনিয়ম খতিয়ে দেখতে আসে দুদকের একটি টিম 

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দক্ষিণ কোরিয়ান একটি কোম্পানিকে অন্যায়ভাবে বঞ্চিত করে প্রাথমিকের দুই কোটি কপি পাঠ্যবই ছাপার কাজ দেওয়া হয় ভারতীয় কোম্পানিকে।

২০১৭ শিক্ষাবর্ষের ওই সব পাঠ্যবই ছাপার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ান কোম্পানি টিপিএস টেন্ডারে অংশ নিয়ে মোট ১৭টির সর্বনিম্ন দরদাতা হয়। কিন্তু প্রায় ৫০ কোটি টাকার ছাপার কাজ তাদের না দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার উচ্চমহলের ইশারায় সে কাজ দেয় ভারতের একটি কোম্পানিকে।

দুদক বলছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ভারতকে পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর কাজ দিয়ে কী পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ক্ষতি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। একই সঙ্গে গত সরকারের আমলে পাঠ্যপুস্তকের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির নথিপত্রও সংগ্রহ করছে সংস্থাটি।

আরও পড়ুন: মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা

এ বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রিয়াজুল হাসান দ্যা ডেইলি ক্যম্পাসকে বলেন, ‘দুদকের টিম আমাদের কাছে যেসব তথ্য এবং নথি দেখতে চেয়েছে আমরা তার কিছু দেখিয়েছি। তারা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী নথিগুলো প্রিন্ট করে নিয়েছে। আরও কিছু নথি আমরা তাদের জোগাড় করে দেব।’


সর্বশেষ সংবাদ