প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৬ PM , আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৬ PM
গত ২৮ অক্টোবর ‘দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে’ প্রকাশিত “পরিবার পরিকল্পনায় আওয়ামী সমর্থকদের পদায়নে ‘কোণঠাসা’ বৈষম্যবিরোধীরা, ক্ষোভ” —প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। রবিবার (১০ নভেম্বর) পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাইফুল্লাহিল আজম স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
প্রতিবাদলিপিতে জানানো হয়েছে— ‘বিসিএস (পরিবার পরিকল্পনা) ক্যাডার কর্মকর্তাগণের নিয়োগ পদোন্নতি/সিলেকশন গ্রেড প্রদান বিষয়ক কমিটি ৫ সদস্য বিশিষ্ট। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব উক্ত কমিটির সভাপতি। কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ হলেন- মহাপরিচালক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের যুগ্মসচিব সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিসিএস (পরিবার পরিকল্পনা) (সাধারণ) ক্যাডার কর্মকর্তাদের জ্যেষ্ঠতা, অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে বিধিবিধানের আলোকে কমিটি পদোন্নতি প্রদান করেছেন। পদোন্নতিপ্রাপ্ত উপপরিচালকদের পদায়নও করা হয়েছে মন্ত্রণালয় থেকে। সম্প্রতি পদোন্নতিপ্রাপ্ত ২০-২৫ জন উপপরিচালক ২৭ অক্টোবর ২০১৪ খ্রি. তারিখে আমার অফিস কক্ষে এসে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করলে আমি তাদেরকে শালীনভাবে কথা বলার জন্য বলি।’
‘যে কেউ কোন জেলার বাসিন্দা হলে তাঁর আত্মীয় কিংবা পরিচিত কেউ কোন দলের সদস্যের অনুসারি হবেন তা ভাবা কোনভাবেই সমীচিন নয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনে কে এম মনোয়ামুল ইসলাম বিপুলকে আমার চাচাতো ভাই হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে; যা সত্যের অপলাপ মাত্র।’
‘ফিজিক্যাল ফেসিলিটিজ ডেয়েলপমেন্ট (পিএফডি) ওপির লাইন ডাইরেক্টরের কাজ ছিল অর্থ বছরের বরাদ্দকৃত অর্থ আইবাস++ এর মাধ্যমে প্রধান প্রকৌশলী, এইচইডি বরাবর ন্যাস্ত করা। এছাড়া একই সময়ে ‘এসেন্সিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ প্রকল্পের’ পরিচালক থাকা কালীন তহবিল থেকে একটি টাকাও বেতন/ভাতা বাবদ গ্রহণ করিনি। কেনাকাটায় একচ্ছত্র প্রভাব, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ছেলের টেন্ডার বাণিজ্যে সহায়তাকরণ, বিভিন্ন হাসপাতাল ও প্রকল্পে নিজের পছন্দমত লোক বসানো, বদলি-পদায়ন ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বিদ্বেষপূর্ণ। তবে একটি গাড়ি পিএফডি প্রকল্পের ডিপিপি’র অন্তর্ভুক্ত ছিল বিধায় প্রকল্প পরিচালক হিসেবে সরকারি বিধি অনুসরণ করে গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছে।’
‘বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসি) চেয়ারম্যানসহ অন্য যে কোনো পদে প্রভাব খাটিয়ে পদায়ন নেয়ার কোন সুযোগ নেই। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যোগ্যতা বিবেচনায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করে থাকেন। সুতরাং প্রভাব খাটানোর বিষয়টি অমূলক’
‘পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে যোগ দিয়েই অধিদপ্তরের পরিচালক ও উপপরিচালক পদে আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তাদের পদায়ন করা হয়েছে মর্মে প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করার বিষয়টি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে বর্ণিত কর্মকর্তাদের জ্যেষ্ঠতার তালিকা, অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা বিবেচনায় মন্ত্রণালয় থেকে পদোন্নতি ও পদায়ন আদেশ করা হয়েছে।’
‘এছাড়া আপনার পত্রিকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের পদোন্নতির বিষয়টি ধামাচাপা দিতে প্রজ্ঞাপন জারির ৪৫ দিন পর পদোন্নতি প্রাপ্তদের পদায়ন করার বিষয়টি মন্ত্রণালয় হতে সম্পাদিত হয়েছে। এ বিষয়ে নিম্নস্বাক্ষরকারীর উপর দায় চাপানো মোটেও উচিত হয়নি। কারণ নিম্নস্বাক্ষরকারী এ কার্যালয়ে বিগত ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. তারিখে যোগদান করেন। কোন সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে খবরের প্রাসঙ্গিকতা নিশ্চিত হয়ে সংবাদ পরিবেশন করা সমীচীন। এখানে উল্লেখ্য যে, একই শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে যে সকল কর্মকর্তার সম্পর্কে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে, সে সকল কর্মকর্তার সাথে সংবাদ প্রকাশের পূর্বে ফোনে কথা বলা হলেও নিম্নস্বাক্ষরকারীর সাথে সংশ্লিষ্ট সংবাদের বিষয়ে টেলিফোনে কোন আলোচনা হয়নি। বরং প্রতিবেদক দুই জন কর্মকর্তার দুর্নীতির বিষয়ে টেলিফোনে জানতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে মর্মে জানানো হয় এবং অন্য কোন বিষয়ে কথা বলার জন্য প্রয়োজন হলে পরবর্তী দিনে সকাল ৯ টার মধ্যে সরাসরি নিম্নস্বাক্ষরকারীর দপ্তরে আসার জন্যে অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু সংবাদ পরিবেশনের পূর্বে কোন সাংবাদিক/প্রতিনিধি সরাসরি উপস্থিত হয়ে কোন প্রকার যোগাযোগ করেননি, এক্ষেত্রে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন নীতিমালা যথাযথ ভাবে প্রতিপালিত হয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয় না।’