বিএনপি ও শিবিরের নেতাকর্মী হত্যা, ১১ বছর পর আসামি হলেন নূর
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩০ AM , আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ AM
২০১৩ সালে এমপি থাকার সময় তার গাড়িবহরে হামলার অভিযোগে হত্যা করা হয় বিএনপি ও ছাত্রশিবিরের তিন নেতাকর্মীকে। সে সময় এ ঘটনায় করা মামলায় কারাভোগ করেছেন বিএনপি–জামায়াতের প্রায় ৫০০ নেতাকর্মী। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর নিহতের স্ত্রী নীলফামারী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে ঘটনার ১১ বছর পর বিচারবহির্ভূত হত্যার মামলা করেছেন।
নীলফামারীর রামগঞ্জে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে তৈরি হয় অস্থিরতা। ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর সেখানে নেতাকর্মীদের নিয়ে উপস্থিত হন আসাদুজ্জামান নূর। এসময় জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রব্বানীর বাসা পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সে সময় এই সংঘর্ষে নিহত হন চারজন।
ঘটনার পর গোলাম রব্বানীকে প্রধান আসামি করে মামলা করে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে যাওয়ার পর উদ্ধার করা হয় তার মরদেহ। পরিবারের অভিযোগ, তাকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়। নিহত গোলাম রব্বানীর স্ত্রী শাহানাজ বেগম বলেন, ‘সকাল থেকে দিনটা গত হয়ে গেল, এর মধ্যে ওরা আর আমার স্বামীর লাশ দিচ্ছে না। তার লাশ থানাতেই রেখে আসাদুজ্জামান নূর এখানে আসে আনন্দ মিছিল করার জন্য।’
শাহানাজ আরও বলেন, ‘২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি র্যাব ও পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর, থানায় খোঁজ নিলে পুলিশ র্যাবের কাছে যেতে বলে। সেখানে গেলে র্যাব জানায়, রব্বানী বলে কেউ নাই এখানে। ১৮ তারিখ পলাশবাড়ীতে লাশ পাওয়া যায়। পরে আওয়ামী লীগের লোকেরা আনন্দ মিছিল করে। আসাদুজ্জামান নূর বলেছে লাশ পুড়িয়ে ফেলবে, লাশ দিবে না।’
২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়ার পর মেলে ছাত্রদল নেতা আতিকুর রহমানের মরদেহ। খোঁজ মেলেনি তার সঙ্গে থাকা খালাতো ভাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিদুল ইসলামের।
আতিকের ভাই আশিকুর রহমান বলেন, ‘আমার ভাই ও আমার আপন খালাতো ভাই দুজনে অন্য এলাকায় আশ্রয় নেয়। ১৩ জানুয়ারি তাদের ডিবি পরিচয়ে তুলে আনা হয়। পরে সৈয়দপুরের নাড়িয়া এলাকায় ভাইয়ের লাশ পাই, ৬ দিন পর। কিন্তু মহিদুল ভাইয়ের লাশ পাই নাই।’
নীলফামারী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহরুল ইসলাম বলেন, ‘এটাকে হাইলাইট করার পর, এই সুযোগ নিয়েই উনি কিন্তু সংস্কৃতি মন্ত্রী হয়েছিলেন।’
এদিকে, ২০০৮ সালে নির্বাচনে আসার আগে আসাদুজ্জামান নূর পরিবারের গাড়ি-জমি না থাকলেও, ১৫ বছরে হয়েছেন বিশাল সম্পদের মালিক। গ্রামে একটি টিনের বাড়ি থাকলেও অভিযোগ রয়েছে, দৃশ্যমান সম্পদের বাইরে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি।