শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে বিচার বিষয়ে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:১১ PM , আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:১১ PM
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকতে চাইলে তাকে চুপ থাকতে হবে, যতক্ষণ না বাংলাদেশ তাকে ফেরত চায়। সংবাদমাধ্যম পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব বলেন।
তিনি বলেন, ভারতে তার অবস্থানের কারণে কেউ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে না। কেননা আমরা তাকে ফেরাতে চাই। তিনি সেখানে থেকে যেসব কথা বলছেন তা সমস্যার সৃষ্টি করছে। তিনি যদি চুপ থাকতেন, তাহলে আমরা ভুলে যেতাম। তিনি নিজের জগতে থাকলে জনগণও বিষয়টি ভুলে যেত। কিন্তু তিনি ভারতে অবস্থান করে বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছেন। বিষয়টি কেউ ভালোভাবে নিচ্ছে না।
গত ১৩ আগস্ট শেখ হাসিনার দেওয়া রাজনৈতিক বিবৃতির পর এ মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। তিনি শেখ হাসিনার ওই মন্তব্যকে “বন্ধুত্বহীন অঙ্গভঙ্গি” উল্লেখ করে বলেন, ঢাকা থেকে তার প্রত্যর্পণের অনুরোধ না করা পর্যন্ত উভয় দেশের অস্বস্তি রোধ করতে তাকে অবশ্যই নীরব থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা বেশ দৃঢ়ভাবে বলেছি যে, তার চুপ থাকা উচিত। এটি আমাদের প্রতি অবন্ধুসুলভ আচরণ। তিনি সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন এবং সেখান থেকে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এমন নয় যে, তিনি স্বাভাবিক পথেই সেখানে গেছেন। জনগণের অভ্যুত্থান এবং জনরোষের কারণে তিনি সেখানে গেছেন।
গত ১৩ আগস্ট শেখ হাসিনা ‘ন্যায়বিচার’ দাবি করে বলেন, সাম্প্রতিক ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’, হত্যা ও ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের অবশ্যই তদন্ত, চিহ্নিত এবং শাস্তি দিতে হবে। এসব বিষয় সামনে রেখে ড. ইউনূস বলেন, এটি আমাদের বা ভারতের কারো জন্য ভালো নয়। এ নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনার আমলে হওয়া নৃশংসতার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এ জন্য তাকে (শেখ হাসিনা) দেশে ফেরানো প্রয়োজন। তাকে ফিরিয়ে না আনা হলে বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে থাকতে পারবে না। তিনি যে ধরনের নৃশংসতা করেছেন, তার জন্য তাকে সবার সামনে বিচার করতে হবে।
উল্লেখ্য, ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পর পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে অবস্থান করছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা। তার পদত্যাগের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।