জ্বালানি তেলের দাম কমানোর উদ্যোগ

জ্বালানি তেলের দাম কমানোর উদ্যোগ
জ্বালানি তেলের দাম কমানোর উদ্যোগ  © সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মুনাফা কমিয়ে দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দর কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সেপ্টেম্বর থেকে গ্রাহকরা বর্তমানের তুলনায় কম দামে ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রল কিনতে পারবে। তবে ডিজেল ও কেরোসিনের তুলনায় পেট্রল ও অকটেনের দাম কমবে বেশি। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) জ্বালানি বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে নির্বাহী আদেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণের আইন বাতিল করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। গত জুলাই মাস থেকে দেশের বাজারে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১০৬ টাকা ৭৫ পয়সা, অকটেন প্রতি লিটার ১৩১ টাকা এবং পেট্রল ১২৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার কারণে দেশেও কমানো হবে। পাশাপাশি বর্তমান ফর্মুলা অনুযায়ী, জ্বালানি তেলের দামের মধ্যে বিপিসির জন্য যতটা মুনাফা রয়েছে সেটাও কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

যে কারণে আগামী মাসে জ্বালানি তেলের দাম বেশ খানিকটা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার বিপিসির মুনাফা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, অকটেন ও পেট্রলের দাম প্রতি লিটারে ৮ থেকে ১২ টাকা পর্যন্ত কমতে পারে। আর ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটারে দুই থেকে চার টাকা পর্যন্ত কমতে পারে।

নির্বাহী আদেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণের আইন বাতিল করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণের একক ক্ষমতা আবার ফিরে পেল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

গতকাল মঙ্গলবার এসংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপতির দপ্তর। গেজেটে বিইআরসি আইনে ৩৪(ক) ধারা সংযোজন করে নির্বাহী আদেশে দাম নির্ধারণের ক্ষমতা দেওয়া হয় নির্বাহী বিভাগকে। গেজেটে ৩৪ (ক) ধারা বিলুপ্ত করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ