হেলিকপ্টার নাকি বিমান—কোনটিতে চড়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা?

ধারণা করা হয় পুরাতন বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টার যোগে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা
ধারণা করা হয় পুরাতন বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টার যোগে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা  © সংগৃহীত

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশ ছাড়ার আগ পর্যন্ত ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর পারেননি। সেনাবাহিনীর সহায়তায় দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগের সভাপতি।

এদিকে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগ নিয়ে একাধিক গণমাধ্যম একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম দাবি করেছে বাংলাদেশ থেকে হেলিকপ্টারে করে ভারতের একটি রাজ্যে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে একাধিক সূত্র বলছে, বিমানে চড়ে সরাসরি নয়াদিল্লিতে গেছেন তিনি। 
 
বার্তা সংস্থা এএফপি’র বরাতে দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ৫ আগস্ট বেলা আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে সামরিক হেলিকপ্টারে চড়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ভারতের আগরতলা গেছেন, পরে দিল্লি।

অন্য একটি সূূত্র বলছে, হেলিকপ্টারে চড়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়েননি। এমনকি আগরতলায়ও যাননি। সম্প্রতি বিমান বাহিনীর ফ্লিটে যুক্ত হওয়া সি-১৩০-জে সুপার হারকিউলেস এয়ারক্রাফ্‌ট-এ চড়ে শেখ হাসিনা সরাসরি দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তার আগে গণভবন থেকে কয়েক স্তরের নিরাপত্তায় তাকে তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দরে নেয়া হয়। সেখানে প্রস্তুত ছিল বৃটিশ এয়ারফোর্সে ব্যবহৃত হওয়া আমেরিকান কোম্পানি ম্যাকডোনাল্ড ডগলাসের তৈরি সি-১৩০ জে উড়োজাহাজ।

সূত্র বলছে, আগে থেকে প্রস্তুত রাখা সি-১৩০-জে সুপার হারকিউলেস উড়োজাহাজে ফ্লাই করেন শেখ হাসিনা। উড়োজাহাজ পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বাইরে ফ্লাইটে শেখ হাসিনার একমাত্র সফরসঙ্গী ছিলেন তার ছোটবোন শেখ রেহানা। হাসিনা ও রেহানাকে বহনকারী বাংলাদেশ এয়ারফোর্সের উড়োজাহাজটি ঢাকা থেকে ননস্টপ ফ্লাই করে ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় দিল্লির কাছে গাজিয়াবাদের হিন্ডন বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। সেখানে অপেক্ষমাণ ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে রিসিভ করেন। 


সর্বশেষ সংবাদ