৫০ ভাগ লোক জানে না তাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে: হার্ট ফাউন্ডেশনের সেমিনারে বক্তারা

সেমিনারে বক্তারা
সেমিনারে বক্তারা  © সংগৃহীত

বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে শতকরা ২৫ ভাগ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগে থাকে। তবে এদের মধ্যে শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ জানে না যে, তাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এ তথ্য জানান। এসময় উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যসম্মত এবং নিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপনে গুরুত্বারোপ করা হয়।  

“সঠিকভাবে রক্তচাপ মাপুন, নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং দীর্ঘজীবী হোন’- এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ১৭ মে পালিত হলো বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস। দিবস উপলক্ষ্যে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, মিরপুর এর অডিটোরিয়ামে এক গণমুখী সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। গণমুখী সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডা. রোকেয়া সুলতানা, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। 

দিবসটি উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ কর্তৃক মে মাসব্যাপী ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে গণমুখী সেমিনার, বৈজ্ঞানিক সেমিনার, দেশব্যাপী বিনামূল্যে রক্তচাপ পরিমাপ, গণমাধ্যমে স্বাস্থ্য বিষয়ক অনুষ্ঠানমালা, সচেতনতামূলক পোস্টার ও লিফলেট প্রকাশ সহ নানাবিধ কর্মসূচি পালন করেছে।

সেমিনারে বক্তারা উল্লেখ করেন, উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘাতক। আমাদের দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে শতকরা ২৫ ভাগ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগে থাকে। তবে এদের মধ্যে শতকরা প্রায় ৫০ ভাগই জানেন না যে, তাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোক, কিডনি সহ বিভিন্ন জটিল রোগের জন্য উচ্চ রক্তচাপ একটি অন্যতম এবং মারাত্মক ঝুঁকি। এজন্য উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ রক্তচাপজনিত রোগসমূহ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসার জন্য জনগণ এবং চিকিৎসকসহ সকলের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা একান্ত প্রয়োজন। তবে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীর অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যসম্মত এবং নিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন করা প্রয়োজন।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেমিনারটির সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী), স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহাসচিব অধ্যাপক ফজিলা-তুন-নেসা মালিক। এছাড়া শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন অধ্যাপক মো. রোবেদ আমিন, লাইন ডিরেক্টর (এন সি ডি সি), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এপিডেমিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরি। যুগ্ম মহাসচিব জনাব নওশাদ হোসেনের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে সেমিনারটি সমাপ্ত হয়। প্রায় তিন শতাধিক বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ