তীব্র দাবদাহে সুস্থ থাকতে হিট অফিসারের ৫ পরামর্শ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৯ PM , আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৯ PM
বেশি বেশি পানি পান করা, ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করা, গাছ লাগানো, ছায়ার মধ্যে থাকাসহ অতিরিক্ত তাপমাত্রায় সুস্থ থাকতে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ‘চিফ হিট অফিসার’ বুশরা আফরিন। রোববার (২১ এপ্রিল) গণমাধ্যমে আলাপকালে চলমান তাপপ্রবাহে সবাইকে এসব পরামর্শ দেন তিনি।
চিফ হিট অফিসার বলেন, নিজের, পরিবারের এবং সমাজের সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই সচেতনতা বৃদ্ধি সম্ভব। খুব সাধারণ কিছু পন্থা অবলম্বন করে আমরা নিজেদের ঝুঁকিমুক্ত রাখতে পারি। যেমন, বেশি বেশি পানি পান করা, ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করা, যথাসম্ভব ছায়ার মধ্যে থাকার চেষ্টা করা এবং অসুস্থ বোধ করলে বিশ্রাম নেওয়া বা বেশি খারাপ বোধ করলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া। তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই আরও বেশি করে গাছ লাগাতে হবে এবং পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: তীব্র দাবদাহে কী করছেন হিট অফিসার
গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নিয়ে এর আগে বুশরা আফরিন বলেন, আমাদের এখানে রাস্তার ধারে ২ লাখ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়। শুধু গাছ লাগালেই হবে না, সেগুলোর উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণও করতে হবে। নগরে বনায়ন করা খুব জরুরি। এখানে যে ফাঁকা এবং পরিত্যক্ত জায়গাগুলো আগে সেখানে সবুজায়ন করার দিকেও আমরা নজর দিয়েছি। আমাদের এখানে আরও অনেক পার্ক এবং সবুজে ঘেরা জায়গা দরকার। তাতে তাপমাত্রা যেমন কমবে, তেমনই পাখি সহ নানা প্রাণীও ফিরে আসবে।
ব্যক্তি উদ্যোগেও নগরবাসীকে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছেন চিফ হিট অফিসার। বুশরা বলেন, তীব্র দাবদাহে আমরা নিজেরা যদি সচেতন থাকি..আমরা যদি বাসা থেকে বের হওয়ার আগে আমাদের ব্যাগে একটা পানির বোতল, টুপি, ফ্যান, ছাতার মতো জিনিসপত্র সাথে রাখি তাহলে কিন্তু অনেকটাই নিরাপত্তা পেতে পারি।
চিফ হিট অফিসার বলেন, এর মধ্যে অন্যতম হলে বস্তি এলাকায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা, কারণ তারা অন্যতম প্রবল ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী। সেসব জায়গায় গাছ লাগানোর মাধ্যমে তাদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে, সেসব গাছের রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও সচেতন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এছাড়া, আবহাওয়া অধিদপ্তরসহ আরও বেশ কিছু সরকারি-বেসরকারি ও এনজিওর সঙ্গে আমরা যুক্ত হয়ে বেশ কিছু কার্যক্রম শিগগিরই চালু করতে যাচ্ছি। এগুলো সম্পর্কে আপনাদের বিশদভাবে অবহিত করা হবে। কল্যাণপুর ও বনানীতে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে আমরা নগর বন তৈরি করতে যাচ্ছি, যা একই সঙ্গে শীতলকরণ, বায়ু দূষণ রোধ ও মাটির গুণাগুন বৃদ্ধি করবে।