বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে এ পর্যন্ত ছাড়পত্র পেলেন ১১ জন

বেইলি রোডে আগুন

বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া বিল্ডিং
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া বিল্ডিং  © সংগৃহীত

রাজধানীর বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের মধ্যে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়া শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে ১১ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। রবিবার (৩ মার্চ) ভর্তি রোগীদের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল সার্জন মো. তরিকুল ইসলাম। 

তিনি জানান, আমাদের এখানে ১৪ জন ভর্তি ছিল। এর মধ্যে ১১ জনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আর বাকি তিনজনের শ্বাসকষ্টসহ নানা জটিলতা থাকায় তাদের হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তবে তারাও সুস্থতার দিকে। পুরোপুরি সুস্থ হলে তাদেরও ছাড়পত্র দেওয়া হবে। তবে এখনো তাদের শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

বার্ন ইনস্টিটিউটে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন রাকিব (২৫)। তিনি সূত্রাপুরের ৯ নম্বর ওয়াটার রোডের কাজী নজরুল ইসলামের ছেলে। কুমিল্লার মুরাদনগরের আবুল বাশারের ছেলে মেহেদী হাসান (৩৫)। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী।
মেহেদী তার স্ত্রী সুমাইয়াকে (২৫) নিয়ে ওই রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন। তারা তিনজনই বার্ন ইনস্টিটিউটের পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

এছাড়াও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন দুইজন। তাদের মধ্যে একজন জুবায়ের আহামেদ (২৫)। তিনি ফরিদপুরের বোয়ালমারীর ফেলানগর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। অন্যজন হলেন কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের কর্মচারী ইকবাল হোসেন (২৩)। তিনি নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।

এর আগে, ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৪ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুইজনের মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। গতকাল শনিবার তাদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এবং ডিএনএ টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ