ঢাকায় কারাগারে থেকেও বরিশালে ককটেল নিক্ষেপ মামলার আসামি যুবদল নেতা

  © সংগৃহীত

বরিশাল মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান মামুন গত ১৫ দিন ধরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী আছেন। ঢাকায় বন্দী থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে বরিশালে একটি মামলা হয়েছে। 

গত বুধবার সকালে বরিশাল নগরের সিঅ্যান্ডবি সড়কে বিএনপি নেতা কর্মীরা অবরোধ সৃষ্টি ও বিক্ষোভের চেষ্টা করলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খোকন চন্দ্র বাদী হয়ে বুধবার দুপুরে ২৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় ২২ নম্বর আসামি করা হয়েছে কারাবন্দী মাসুদ হাসান মামুনকে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিএনপি নেতা কর্মীরা সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করে। বাধা দিতে গেলে পুলিশে ওপর ককটেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ওই ঘটনায় কারাবন্দী মামুনকেও আসামি করা হয়।

মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপাপ্ত সদস্য জাহিদুর রহমান রিপন বলেন, ‘গত ১৬ অক্টোবর ঢাকায় যুব সমাবেশে অংশ নেন মামুন। ১৮ অক্টোবর ছিল বিএনপির সমাবেশ। তার আগের দিন ১৭ অক্টোবর ঢাকায় পল্টনে হোটেল মেট্রোপলিটনে ডিবি পুলিশের অভিযানে যুবদলের মাসুদ হাসান মামুন ও কৃষক দলের জেলা সেক্রেটারি শফিউল ইসলাম গ্রেপ্তার হন। এরপর থেকে তারা ঢাকায় কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। 

১৭ অক্টোবর থেকে ঢাকায় কারাবন্দী মামুন কীভাবে পুলিশের ওপর হামলা করলো এসআই খোকন চন্দ্রের কাছে জানতে চাইলে তিনি ওসির সঙ্গে কথা না বলে কিছু বলতে পারবেন না বলে জানান। পরে তিনি মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। 

তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (নিরস্ত্র) বিপ্লব মিস্ত্রী বলেন, ‘মামুন যদি সত্যিই কারাবন্দী হয়ে থাকে তাহলে তদন্ত শেষে অভিযোগপত্রে তার নাম বাদ দেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘বাদীকে কেউ হয়তো ভুল তথ্য দিয়েছে।’

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি তার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে জানবেন।’ ওসি দাবি করেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের তথ্যের ভিত্তিতে অন্য আসামিদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কেউ ভুল তথ্য দিতে পারে।’ 

জানা গেছে, মাসুদ হাসান মামুনের মুক্তির দাবিতে ২২ অক্টোবর নগরীতে বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন মজিবর রহমান সরোয়ার। মামুনের মুক্তির চেয়ে নগরীর সর্বত্র পোস্টার এখনো দৃশ্যমান।’


সর্বশেষ সংবাদ