তীব্র গরমে হাঁসফাঁস জনজীবন, বৃষ্টি নামবে কবে?

  © সংগৃহীত

চৈত্রের কাঠ ফাটা রোদ্দুরে যেন আগুনের ফুলকি হয়ে ঝরে। প্রতিনিয়ত যেন সূর্য থেকে আগ্নেয়গিরির উদগীরণ হচ্ছে। চারিদিকে বইছে গরম বাতাস। হাফিয়ে উঠছে মানুষ। গরমে রাজধানী ঢাকা যেন হয়ে উঠছে জ্বলন্ত হাড়ি। রবিবার (৯ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা চলতি বছরের মধ্যে রেকর্ড। নেই কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা বলছেন আবহাওয়াবিদরা। 

ঢাকায়ও গত কয়েকদিন ধরেই নাভিশ্বাস অবস্থা মানুষের। রোজাদারদের শুষ্কতা এই কাঠ ফাটা রোদ যেন আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। আর রাজধানীর সেই চিরচেনা দীর্ঘ জ্যাম রাজপথের জ্যাম বাতাসের উত্তাপ আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। 

ফার্মগেট থেকে নিউমার্কেট গামী এক টেম্পু চালক বলেন, একে রোজা আর তার উপর গরমে একেবারে নাজেহাল অবস্থা। ইদ উপলক্ষে সবাই মার্কেট করতে বের হইসে যেমন, তেমন জ্যামও বাড়সে। গ্রীন রোডে আধঘন্টা জ্যামে মনে হয় আমি সিদ্ধ হয়া গেসি। আজকে রোজা কেমনে রাখতেসি একমাত্র আল্লাহই জানে। 

এদিকে উত্তরাগামী বিকাশ পরিবহণের বাস ড্রাইভার কুতুব আলী বলেন, এই গরমের কারণে গত ৬-৭দিন ধইরা রোজা রাখতে পারি না। আগের থেকা অনেক সময় লাগে এক টিপ মারতে। ড্রাইভার সিট এমনেতেই হিট হয়া থাকে। আর এখন যে গরম পড়সে তাতে মনে হয় হিট স্ট্রোক করুম।

আরও পড়ুন: পহেলা বৈশাখে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বন্ধে আইনি নোটিশ

আবহাওয়াবিদরা বলেছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগসহ রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলাগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। 

এদিকে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, আগামী ৭/৮ দিন বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা দেখা মিলছে না। ফলে এই গরম অব্যাহত থাকতে পারে আগামী সাত দিন। 

গরমের এই সময় অনেকেই অসুস্থ হয়ে উঠছেন। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ পরামর্শ হিসেবে বলেন, এই সময় রোদ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে। পাশাপাশি প্রচুর পানি জাতীয় খাবার খেতে হবে। যারা রোজা রাখছেন তাদের ইফতারির পর থেকে সেহরি পর্যন্ত পানি জাতীয় খাবার খেতে হবে, যাতে শরীরে কোনও পানির ঘাটতি না হয়।


সর্বশেষ সংবাদ