নিউইয়র্কে গোলাপের ৯ বাড়ির অনুসন্ধান চেয়ে ব্যারিস্টার সুমনের রিট
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০২:২৩ PM , আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০২:২৩ PM
আওয়ামী লীগের এমপি মো. আবদুস সোবহান গোলাপ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ৪০ লাখ ডলার ব্যয়ে ৯টি বাড়ি কেনার বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে একটি রিটের আবেদন করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট দায়ের করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, এনবিআরের চেয়ারম্যান ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
অভিযোগ দেওয়ার বিষয়ে সায়েদুল হক সুমন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি অপেক্ষা করেছি দুদক এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে কি-না, যেহেতু এখন পর্যন্ত দুদক গ্রহণ করেনি, তাই আমি নিজে আজকে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ করেছি। একটা অসৎ, সে কখনো দেশপ্রেমিক হবে না। আমার কাছে মনে হয়েছে, এরকম লোক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের জন্য রীতিমত লজ্জার।’
অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক ‘অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট’ বা ওসিসিআরপি’র ওয়েবসাইটে করা একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, মো. আবদুস সোবহান মিয়া ২০১৪ সালে প্রথম নিউইয়র্কে অ্যাপার্টমেন্ট কেনা শুরু করেন। ওই বছর নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস এলাকায় একটি সুউচ্চ ভবনে অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন তিনি।
পরের পাঁচ বছরে নিউইয়র্কে একে একে মোট ৯টি প্রপার্টি বা সম্পত্তির (ফ্ল্যাট বা বাড়ি) মালিক হন মো. আবদুস সোবহান মিয়া। এসব সম্পত্তির মূল্য ৪০ লাখ ডলারের বেশি (ডলারের বর্তমান বিনিময় মূল্য অনুযায়ী প্রায় ৪২ কোটি টাকা)। বিষয়টি নির্বাচনী হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেননি বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়।
এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি মাদারীপুর-৩ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) লিখিত অভিযোগ দেন সুমন। পরে তার এই অভিযোগের বিষয়ে দুদকের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেছিলেন, অভিযোগ এলে সে ব্যাপারে যাচাই-বাছাই কমিটির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ওইদিন বিকেলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক সচিব এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’, দূষিত শহরের তালিকায় তৃতীয়
এ বিষয়ে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, অভিযোগ যে কেউ দিতে পারে। অভিযোগ যদি এসে থাকে আমাদের যাচাই-বাছাই কমিটি আছে, তারা দেখবেন কমিশনের তফসিলভুক্ত কি-না। কমিশন যদি মনে করে অভিযোগে সত্যতা আছে তাহলে পরবর্তী বিধি-বিধান মোতাবেক ব্যবস্থা নেবেন। ওই সময় দুদক সচিব আরও বলেন, যে মাধ্যমে অভিযোগ আসুক কমিশনের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। যখন কোনো তথ্য পাওয়া যায় সেটি নিয়ে কমিশন কাজ করে প্রাথমিকভাবে এর সত্যতা পেলেই অনুসন্ধান শুরু করে।
উল্লেখ্য, মো. আবদুস সোবহান মিয়া ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সস্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে তিনি প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের পদ পান। তিনি দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদকও ছিলেন।