প্রিয়জনকে আজ চকলেট দিয়ে বলুন ‘ভালোবাসি’

চকলেট উপহার দিয়ে উষ্ণ ভালবাসা প্রকাশ করতে পারেন
চকলেট উপহার দিয়ে উষ্ণ ভালবাসা প্রকাশ করতে পারেন  © সংগৃহীত

ফেব্রুয়ারি মানেই প্রেম-ভালোবাসার মাস। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডে-র আগে এক সপ্তাহ জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন স্পেশ্যাল দিন। রোজ ডে, প্রপোজ ডে’র পর আজ ৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব চকলেট দিবস। এ দিনে প্রিয়জনকে চকলেট উপহার দিয়ে উষ্ণ ভালবাসা প্রকাশ করতে পারেন। ভালোবাসা প্রকাশ করার অনেক উপায় রয়েছে। ভ্যালেন্টাইনস উইকে মনের মানুষকে প্রেম নিবেদন করার এটাই সেরা সুযোগ। চকলেট যেমন অভিমান ভাঙতে পারে, তেমনই সম্পর্কও আরও মধুর করতে পারে। চকলেট বা মিষ্টি জাতীয় কিছু খাওয়ানো ভালবাসার উপর ভাল প্রভাব ফেলে।

চকেলেট এর স্বাদ প্রথম পেয়েছিল লাতিন আমেরিকার মায়া সভ্যতা। নামটিও এসেছে তাদের ভাষার ‘স্কোকোলেট’ থেকে। যার অর্থ অম্ল পানীয়। কোকো গাছের বীজ থেকে প্রস্তুত এই চকোলেট গোড়ার দিকে মূলত পানীয় হিসাবেই ব্যবহার করা হতো। সে আমলে আবার অনেকে তা রান্নার মসলা হিসেবেও ব্যবহার করতেন।

পরবর্তীকালে মায়াদের কাছ থেকে চকলেটের ব্যবহার শিখে নেয় অ্যাজটেকরা। তাদের আরাধ্য দেবতা কোয়েটজালকটলই নাকি এই কোকো গাছ পৃথিবীতে নিয়ে এসেছিলেন। আর এই গাছের ফল খেলে সাম্রাজ্য এবং ক্ষমতা দুই-ই জয় করা যায়। এমনই বিশ্বাস ছিল অ্যাজটেকদের। সেই কারণে ওই দেশে কোকো গাছকে দেবতাজ্ঞানে পুজো করা হয়। এমনকি দেবতাকে চকোলেট উৎসর্গ করারও নজির রয়েছে।

ইউরোপে চকলেটের চাহিদা

জানা যায়, সেই যুগে রিচার্ড ক্যাডবেরি নামক একজন বিক্রেতা ভ্যালেন্টাইন ডে আসার আগে চকলেট বিক্রি করতেন। তার সেই চকলেটগুলো ভরা থাকত একটি হার্ট-শেপড বক্সে। আর এরপর থেকেই নাকি  চকোলেট উপহার দেওয়া একটি রীতি হয়ে ওঠে।

আরও পড়ুন: সম্পর্ক গড়ার আগেই ভেঙে যেতে পারে ভুল রঙের গোলাপে

আজকাল চকলেটকে নিয়ে যতই হুজুগ উঠুক না কেন, এর বয়স কিন্তু নিছক কম নয়। চকলেটের উৎপত্তি হয়েচিল সেই প্রায় ৪০০০ বছর আগে। এটি আবিষ্কার করেছিলেন মেক্সিকোর বাসিন্দারা। তাঁরা প্রথম আমাজন নদীর অববাহিকায় কোকোর গাছ দেখতে পান। এবং সেগুলি থেকেই চকলেট তৈরি করতে শুরু করেন তাঁরা। তারপর চকোলেটকে পানীয় হিসেবে গ্রহণ করা শুরু হয়। এছাড়াও চকোলেটকে আগে মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করা হতো।

চকলেট শুধু মন তৃপ্ত করে না, এটি মস্তিষ্ককেও চাপমুক্ত রাখতে সহায়তা করে। ডার্ক চকলেট খেলে হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে যায়। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কোকো উৎপাদন করে আইভোরি কোস্ট। যার ৩৭ শতাংশ চকলেট তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। চকলেট খেলে মুখে ব্রণ, একজিমা, ত্বকে অবাঞ্চিত দাগ থেকে মুক্ত থাকা যায়।

মেক্সিকো থেকে স্পেনে চকোলেট পৌঁছোনোর ইতিহাস

চকলেট যখন স্পেনে প্রবেশ করে, তখন সকলের বিশ্বাস ছিল এটি অত্যন্ত ভেষজ গুণ সম্পন্ন। জ্বর হলেই রোগীকে চকলেট খাওয়ার পরামর্শ দিতেন চিকিৎসকরা। এটি একটি ব্যাথানাশক বা পেইনকিলার হিসেবেও ব্যবহৃত হত। এবং হজমের সমস্যা থাকলেও এটি খুব উপকারী বলে বিবেচিত হত। 

উনবিংশ শতকে চকলেট সাধারণ মানুষের ঘরে প্রবেশ করেছিল। আজ এটি আট থেকে আশি সকলের প্রিয় হিসেবে দাঁড়িয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ