ইডেনের ছাত্রীদের থেকে ‘ভাই মেনটেইনের’ কথা বেশি শুনি: কাদের

ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের  © ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংগঠনিক অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া কোনো নির্দিষ্ট নেতার ‘বিশেষ অনুসারী’ পরিচয় দেবার বিষয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সতর্কবার্তা দিয়েছেন। 

শুক্রবার(১৮ নভেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত দপ্তর উপ-কমিটির প্রস্তুতি সভায় এ সতর্কবার্তা জানান ওবায়দুল কাদের।

অমুক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে মেনটেইন (সম্পর্ক রাখা) করি, এটা ছাত্রলীগের মেয়েদের কাছে বেশি শুনি। বেশি আসে ইডেন গার্লস কলেজের ছাত্রীদের কাছে থেকে। তারা এটা খুব সাহসের সঙ্গে উচ্চারণ করে। আমি অমুক ভাইকে মেনটেইন করি’ জানিয়ে এসময় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। 

তিনি বলেছেন, তোমরা আর কাকে মেনটেইন করবা? বঙ্গবন্ধু  আমাদের নেতা। আদর্শ তার। আমরা শেখ হাসিনার কর্মী। মেনটেইন করবা আওয়ামী লীগকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এর বাইরে কীসের মেনটেইন? এটা কি ঘর-বাড়ি মেনটেইনেন্স হচ্ছে নাকি? আশ্চর্য ব্যাপার। এসব বদ অভ্যাস। আবার তাদের নামে স্লোগানও দেয়। এসব বিষয় সুশৃঙ্খল করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন দপ্তরেরও এ নিয়ে দায়িত্ব আছে বলে জানান কাদের।

আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের সম্মেলন পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর

ওবায়দুল কাদের বলেন, এ কী অনুশীলন!  সালাম দিচ্ছে নাম ধরে ধরে। হলের নাম, অমুক ভাইয়ের নাম। এখন নাম-পরিচয় উল্লেখ করে সালাম দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা, যা অতীতে দেখা যায়নি। বলতেই হবে নাম! এজন্য আমি নিচের দিকে তাকিয়ে হাঁটি। ডানে কে? বাঁয়ে কে? এটা আর দেখি না। এসময় তিনি ধানমন্ডির কার্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ভিড় করার সমালোচনাও করেন।

তিনি বলেন, রুমে ঢুকতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। ছাত্রলীগ ছাত্রসংগঠন। এদের সকাল নেই, দুপুর নেই, বিকেল নেই, এসে এখানে লাইন ধরে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে ব্যানার-ফেস্টুন ঝোলানোর বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, এরপর তো আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে আকাশ দেখা যাবে না। নিজের ছবি, ব্যানার, পোস্টার, বিলবোর্ড লাগাচ্ছে। কে কোথা থেকে? চিনি না, জানি না, রাস্তার টোকাই, সেও এসে নেতা হয়ে যায়।

ওবায়দুল কাদের জানান, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এ সম্মেলন পরবর্তী ডিসেম্বরের (২০২৩) শেষে অথবা জানুয়ারির (২০২৪) প্রথমে অভিমুখে আমাদের নিয়ে যাবে। জাতীয় সম্মেলন তাৎপর্যময় বলেও এ সময় উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আট হাজার কাউন্সিলর এবং ১৬ হাজার ডেলিগেট থাকবেন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে। এর চেয়ে বেশি হওয়া যাবে না সদস্য সংখ্যা জানিয়ে তিনি বলেন, জেলা ভিত্তিক আমন্ত্রিত অতিথিদের দাওয়াত-পত্র পাঠানো হবে।


সর্বশেষ সংবাদ