‘চরমোনাই’র নায়েবে আমীরের ব্যাংক হিসাব তলব দুরভিসন্ধিমূলক’

সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম
সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম  © সংগৃহীত

সম্প্রতি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই’র ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। বিষয়টিকে দুরভিসন্ধি ও ষড়যন্ত্রমূলক অ্যাখ্যা দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ।

বুধবার (১২ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির জানান, ‘হাজারো লুটেরা, দুর্নীতিবাজ ও অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংকগুলোতে চিঠি দিয়ে একজন ধর্মীয় আধ্যাত্মিক ও পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক নেতা মুফতি সৈয়দ মুহা. ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই’র ব্যাংক হিসাব তলব দুরভিসন্ধি ও ষড়যন্ত্রমূলক।’

এতে তিনি জানান, ‘অব্যাহত দুর্নীতির কারণে দেশের অবস্থা যখন করুণ। তখন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার দুর্নীতিবাজ, রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাটকারী ও বিদেশে অর্থপাচারকারীরা আঙ্গুল ফুলে বটগাছ বনে গেলেও তাদের ব্যাংক হিসাব তলব না করে একজন ধর্মীয় আধ্যাত্মিক ও পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করে দেশের সরকার প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। 

আরও পড়ুন: সাত কলেজে ভর্তির টাকা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আজ

সভাপতি জানান, যিনি টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া আর রূপসা থেকে পাথুরিয়া পর্যন্ত দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে আল্লাহ ভোলা মানুষকে দ্বীনের পথে এনে অপরাধমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তার ব্যাংক হিসাব তলবে সরকারের সিদ্ধান্ত হয়রানিমূলক।

উল্লেখ্য, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করিমের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধে গঠিত সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। সম্প্রতি ব্যাংকগুলোতে সংস্থাটি থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, চিঠি পাওয়ার ৫ কর্মদিবসের মধ্যে অ্যাকাউন্টে লেনদেনসহ যাবতীয় তথ্য পাঠাতে হবে। কোনও ব্যাংকে ফয়জুল করিমের নামে অ্যাকাউন্ট থাকলে তা জানাতে হবে। অ্যাকাউন্টে শুরু থেকে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী, জমা স্থিতি, কেওয়াইসিসহ বিভিন্ন তথ্য দিতে হবে। কোনও অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে থাকলে সে তথ্যও জানাতে হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে বিএফআইইউর চিঠিতে অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়ার কারণ উল্লেখ করা হয়নি। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ বক্তব্যও দেয়নি।

বিএফআইউর চিঠিতে তার জন্ম তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ১৯৭২ সালের ৩ জানুয়ারি। তার বাবা প্রয়াত সৈয়দ মো. ফজলুল করিম এবং মা মোসাম্মৎ আলমতাজ বেগম। ফজুলুল করিম ছিলেন মূলত চরমোনাই পীর।

সাধারণত কারও বিরুদ্ধে অর্থপাচার, মানি লন্ডারিংসহ কোনও অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া গেলে বিএফআইইউ তার ব্যাংক হিসাব তলব করে। আবার অনেক সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অথবা অন্য সরকারি সংস্থার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতেও তথ্য চাওয়া হয়।

 


সর্বশেষ সংবাদ