টেকনাফ সীমান্তে চলছে গোলাগুলি

টেকনাফে মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে চলছে গোলাগুলি
টেকনাফে মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে চলছে গোলাগুলি  © সংগৃহীত

টেকনাফে মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে চলছে গোলাগুলি। এর শব্দ শুনে আতঙ্কে রয়েছে সীমান্ত এলাকার দুই গ্রামের ৪০০ পরিবার। ২টি গ্রামের বাসিন্দারা এতে আতঙ্কিত বোধ করছেন।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের খারাংগাগুনা ও উলুবনিয়া পাড়ার সীমান্তে বসবাসকারীরা টানা গুলির শব্দ শুনতে পান। 

হোয়াইক্যং সীমান্তের বাসিন্দারা জানান, সোমবার সকাল থেকে টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তে নাফনদের তীরে খুব গোলাগুলি চলছে। যার কারণে এখানকার লোকজন ভয়ভীতির মধ্য রয়েছে। তুমব্রু সীমান্তে মর্টারশেল ও গোলাগুলির ঘটনায় সীমান্তের বাসিন্দা হিসেবে কিছুটা ভয় ছিল। কিন্তু এখন এই সীমান্তের গোলাগুলির কারণে তাদের ভয় আরও বেড়েছে।

এ বিষয়ে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী জানান, ‘তুমব্রুর পর এবার টেকনাফ সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। ফলে সীমান্তের দুই গ্রামের মানুষ আতঙ্কের মধ্য রয়েছে। আমরা তাদের খোঁজ খবর রাখছি।’ 

আরও পড়ুনঃ রাখাইন গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী

তিনি আরও জানান, তুমব্রুর পর এবার গত দুই দিন ধরে তার এলাকায় গোলাগুলি চলছে। ফলে খারাংগাগুনা ও উলুবনিয়া গ্রামের ঝুঁকিতে  থাকা প্রায় ৪০০ মানুষের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এসব মানুষদের খোঁজ রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতি বুঝে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

টেকনাফ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, 'এই সীমান্তে গোলাগুলির খবর জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে জেনেছি। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এছাড়া সীমান্তের ৩০০ মিটারের ভেতরে বসবাসকারীদের তালিকা করা হয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা তাদের খোঁজ খবর রাখছি।'

টেকনাফ ২-বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার এ বিষয়ে বলেছেন, 'সীমান্তে রাত-দিন চব্বিশ ঘণ্টায় বিজিবি সজাগ রয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি। অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠোকাতে কঠোর অবস্থানে বিজিবি।’

আরও পড়ুনঃ করোনায় এক দিনে ৬ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৭১৮

এদিকে সর্বশেষ আপডেট হিসেবে ঘুমধুম ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. আলম জানান, গতকাল থেকে একটু গোলাগুলি শব্দ কমেছে। যদিও সীমান্তের মানুষের মাঝে এখনো আতঙ্ক কাটেনি। 

উল্লেখ্য, সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে মর্টারশেল ও গোলার আঘাতে শূন্য রেখার একজন রোহিঙ্গা নিহতসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। এর আগে মর্টারশেল ও গোলার ঘটনায় ঢাকাস্থ মিয়ানমার রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মোকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চারবার তলব করা হয় এবং এসব ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় সরকারের পক্ষ থেকে। এরপরও গোলাগুলি বন্ধ হয়নি । গত দেড়মাস ধরেই গোলাগুলি চলছে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে। ফলে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ ভীতির মধ্য রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ