মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় ৩০০ সদস্যের ‘এমআরটি পুলিশ’

ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট
ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট  © সংগৃহীত

আগামী ১৬ ডিসেম্বর দেশের প্রথম মেট্রোরেল উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। ঢাকাবাসীকে যানজট থেকে মুক্তি দিতে নির্মাণ করা হয়েছে এই মেট্রোরেল। যাত্রীদের নিরাপত্তা, মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তা এবং নিয়ম-শৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য গঠন করা হচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশের আলাদা বিশেষায়িত ইউনিট। -‘ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পুলিশ’ বা ‘এমআরটি পুলিশ’ নাম দেওয়া হবে এই নতুন এই ইউনিটটির নাম।

জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে প্রস্তাবটি।এতে এমআরটি পুলিশে ৩৫৭টি পদ সৃষ্টি এবং ২১টি যানবাহন টিওএন্ডইতে অন্তর্ভুক্তকরণ সম্বলিত প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা ও এর আশপাশে নির্মিত হচ্ছে ১২৮ কিলোমিটারের পাঁচটি মেট্রোরেল। উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের প্রথমাংশ আগামী ডিসেম্বরেই জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। মেট্রোরেল বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এর চাহিদা অনুযায়ী গঠিত হচ্ছে এমআরটি পুলিশ ইউনিট।

মেট্রোরেলের প্রতিটি স্টেশনে থাকবে ইলেকট্রিক সরঞ্জাম, এটিএম বুথ এবং দোকান। দৈনিক যাতায়াত করবে কয়েক হাজার যাত্রী। তাই প্রত্যেকটি স্টেশনে পুলিশ ফাঁড়ির প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিটের হাতে নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবে ডিএমটিসিএলের ৫১টি উড়াল ও ৫৩টি পাতাল স্টেশনসহ মোট ১০৪টি স্টেশন।

আরও পড়ুন: ভর্তি নিয়ে গুচ্ছের সভা বৃহস্পতিবার

পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, মন্ত্রণালয়ে এমআরটি পুলিশের জন্য একজন উপ-মহাপরিদর্শক, একজন অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক, একজন পুলিশ সুপার, একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ৭ জন ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র), একজন ইন্সপেক্টর (সশস্ত্র), ৬ জন উপ-পরিদর্শক (এসআই), ৫১ জন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই), ১০ জন নায়েক, ২৭০ জন কনস্টেবল, একজন হিসাবরক্ষক, একজন উপ-সহকারী হিসাবরক্ষক ও একজন কম্পিউটার অপারেটরসহ মোট ৩৫৭ জন জনবলের একটি সাংগঠনিক কাঠামো জমা দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, মেট্রোরেলের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার বিষয়টিও সামনে এসেছে। কারণ এরইমধ্যে মেট্রোরেলের পিলারে বিভিন্ন ধরনের পোস্টার লাগানোসহ মেট্রোরেলের যন্ত্রপাতি চুরি হয়। মেট্রোরেলের যন্ত্রাংশ চুরি করে ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে একটি চক্র। 

সম্প্রতি মেট্রোরেলের পিলারে পোস্টার লাগানোর অভিযোগে ১৮ জনকে গ্রেফতার  করা হয়। পোস্টার লাগানো নিষিদ্ধ করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশন। 

পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ওঅ্যান্ডএম) ফারুক আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তা, যাত্রীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি নিয়ম-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে গঠিত হচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশের আলাদা বিশেষায়িত ইউনিট। নতুন এই ইউনিট এমআরটি পুলিশের প্রস্তাবনাটি পুলিশ সদর দপ্তর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে প্রস্তাবনাটি সচিব কমিটিতে রয়েছে।

এ বিষয়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক গণমাধ্যমকে বলেন, এমআরটি পুলিশ ইউনিট বাস্তবায়নে প্রস্তাবনাটি বর্তমানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে রয়েছে। অনুমোদনের পরই দ্রুত মেট্রোরেল পুলিশের কাজ শুরু হবে।


সর্বশেষ সংবাদ