মেডিকেলে চান্স পেয়েও ভর্তির অনিশ্চয়তায় শিক্ষার্থীরা, সুযোগ চান ক্লাসের

শিক্ষার্থী
শিক্ষার্থী  © ফাইল ফটো

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেলে চান্স পেয়েও ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন ৫৩ শিক্ষার্থী। আগামী ১ আগস্ট থেকে ক্লাস শুরুর ঘোষণায় চরম বিপাকে পড়েছেন ভবিষ্যতের এই চিকিৎসকরা। এই অবস্থায় দ্রুত অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তি শুরু করে ক্লাসের সুযোগ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ৪ হাজার ৩৫০টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ২৯৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। ৫৩টি আসন ফাঁকা রয়েছে। এই অসনগুলোতে অপেক্ষামান তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। তবে ফল প্রকাশের তিন মাস হতে চললেও সেই প্রক্রিয়া এখনো শুরু করেনি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। এতে নিজেদের ভর্তি নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় দিন পার করছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতির কারনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা অনেক দেরীতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ভর্তি পরীক্ষা অক্টোবরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুয়েট নতুন করে তারিখ ঘোষণা করেনি। সেক্ষেত্রে অপেক্ষমান তালিকায় থাকা ৫৩ জনকে ভর্তির সুযোগ দেয়া না হলে তাদের ৪-৫ মাস ক্লাস-পরীক্ষা সবই মিস হবে।

তারা বলছেন, অপেক্ষমান তালিকায় থাকা প্রথম ৫৩ জন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। আগষ্টে  ক্লাস শুরু হতে যাচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি খারাপ হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা আবারও পিছিয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ১ম মাইগ্রেশান তখনও দেওয়া সম্ভব হবে না। এতে করে অপেক্ষমান তালিকার প্রথম ৫৩ জন একাডেমিক ভাবে পিছিয়ে পড়বে। তাই দ্রুত খালি সিটগুলোতে অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তি নেওয়ার দাবি তাদের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপেক্ষমান তালিকায় থাকা এক শিক্ষার্থী জানান, সিট খালি রেখেই আগষ্টে ক্লাস শুরুর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। অক্টোবরে ১ম কার্ড ফাইনাল পরীক্ষার তারিখও দেয়া হয়েছে। অথচ আমরা যারা অপেক্ষমান তালিকায় আছি তাদের এখনো ভর্তি সম্পন্ন করা হয়নি। অথচ আমরা চান্স পেয়েছি। ক্লাসের সুযোগ পাওয়া আমাদের অধিকার।

তিনি আরও বলেন, এখন মাইগ্রেশন দিয়ে আমাদের ভর্তি করানো সম্ভব না হলে আমাদের সার্টিফিকেট জমা রেখে অন্তত যেকোনো একটি মেডিকেলের আন্ডারে ক্লাস করার সুযোগ দেওয়া হোক। আমরা একসঙ্গে ক্লাসের সুযোগ চাই।

এদিকে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, মেডিকেলে চান্স পাওয়া অনেক শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটে চলে যায়। তখন আরও শূন্যপদ তৈরি হয়। এজন্য এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর প্রথম মাইগ্রেশন এবং অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তি শুরু করতে চায় তারা। তবে করোনার কারণে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ায় বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রতিবছর প্রথম মাইগ্রেশনের সাথে অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তি করা হয়। সেজন্য এ বছর এখনো অপেক্ষমান থেকে ভর্তি শুরু হয়নি।

তিনি আরও বলেন, ভর্তির অপেক্ষায় থাকা শিক্ষার্থীদের যেন ক্লাসের কোনো ক্ষতি না হয় সেটি আমরা দেখব। ক্লাসের সুযোগ দেয়ার বিষয়টি ভর্তি কমিটির অন্য সদস্যদের সাথে আলোচনা করে জানানো হবে।


সর্বশেষ সংবাদ