হত্যার প্রতিবাদে বৃষ্টি উপেক্ষা করে শহীদ মিনারে চিকিৎসক-মেডিকেল শিক্ষার্থীরা
কোটা সংস্কার আন্দোলন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৪, ০১:০৯ PM , আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২৪, ০১:০৯ PM
কোটা সংস্কার আন্দোলন ও এ নিয়ে সৃষ্ট সংঘর্ষে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনসাধারণ হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছেন চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার সকালে বৃষ্টি উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হয়ে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানান তারা। রাজধানীর বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকরা ‘প্রতিবাদ সমাবেশ’ নামে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী আবেগাপ্লুত কণ্ঠে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ হত্যার প্রতিবাদ জানান। একইসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন। পরে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মিছিল করার চেষ্টা করলেও পুলিশি বাধায় তা করতে পারেননি তারা।
আজ শুক্রবার সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকায় মুশলধারে চলছে বৃষ্টি। এর মধ্যেই সকাল দশটা থেকে চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন। পরে সকাল সাড়ে দশটার দিকে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেন তারা।
সমাবেশে চিকিৎসক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর অনুগত শক্তি ও রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ‘লেলিয়ে দিয়ে হত্যাযজ্ঞ’ চালানো হয়েছে। এর প্রতিবাদে অন্যান্য শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে আসলে ‘তাদের ওপরও একই কায়দায় নির্যাতন চালানো হয়’। ‘আহতদের চিকিৎসা দিতে বা হাসপাতালে নিয়ে যেতেও দেওয়া হয়নি’ বলে দাবি করেন তারা।
তারা দাবি করেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনে নির্যাতন চালানোর পর তা রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনে পরিণত হয়েছে’। চিকিৎসকরা সরকারকে স্বৈরাচার আখ্যা দিয়ে সরে দাঁড়ানোর দাবি জানান। বক্তব্য রাখার সময় তাদের অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পরেন।
চিকিৎসকরা বলেন, সরকারের উচিত ছিল আবু সাঈদের বাসায় যাওয়া, তা না করে মেট্রোরেলের জন্য মায়া কান্না করেছে। তারা বলেন, ‘মৃত মানুষের জীবন ফিরে না আসে না কিন্তু সম্পদ আবারও গড়া যায়।’ দেশে যে বৈষম্য ও অরাজকতা চলছে দাবি করে তারা আরো বলেন, এসব রুখে দিতে ছাত্র সমাজ মাঠে নেমেছে। দেশের সব চিকিৎসক শিক্ষার্থীদের পাশে আছে এবং সর্বক্ষণ তাদের পাশে থাকব। তাদের যৌক্তিক দাবি আদায়ে আমরা সবসময় পাশে থাকব। তারা আরও বলেন, ছাত্রসমাজকে গুলি করে দমানো যাবে না। তাদের যৌক্তিক দাবি আদায় করেই ঘরে ফিরবে।
এক পর্যায়ে তারা গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ করে বলেন, আজ আপনাদের সন্তানের শরীরে গুলি লাগলে আপনারা কি পারতেন চুপ থাকতে? তারা গণমাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজকে প্রতিবাদী হওয়ার আহ্বান জানান।
পরে তারা মিছিল নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের দিকে অগ্রসর হওয়া শুরু করলে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। পরে তারা ঘুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল টাওয়ারের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে শহীদ মিনারের মোড়েই তাদের আটকে দেয়া হয়। কিছুক্ষণ সেখানে স্লোগান দিয়ে তারা চলে যান।