এখনই খুলছে না মেডিকেল কলেজ

মেডিকেল শিক্ষার্থীদের শ্রেণি পাঠদান
মেডিকেল শিক্ষার্থীদের শ্রেণি পাঠদান  © ফাইল ছবি

কোটা সংস্কারপন্থী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সারাদেশে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় মেডিকেল কলেজগুলো। তবে কোটার দাবি বাস্তবায়ন হলেও এখনো বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোও সহসায় খুলছে না।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার আলোকে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হলে মেডিকেলগুলোও খুলে দেওয়া হতে পারে। মেডিকেল কলেজগুলো বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে মেডিকেল কলেজ খুলে দিতে চায় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. টিটো মিঞা বলেন, আমাদের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী হোস্টেলে থাকে। হোস্টেল খুলে না দিলে শিক্ষার্থীরা থাকতে পারবে না, শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে না। যখন সার্বিক পরিবেশ শিক্ষার্থীদের হোস্টেলে থাকার মত হবে, তখন বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। মেডিকেল কলেজগুলো খোলা নিয়ে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি।

এর আগে, কোটা আন্দোলনকে ঘিরে ব্যাপক সহিংসতায় দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৮ জুলাই থেকে বন্ধ আছে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজগুলো।

আরও পড়ুন: হল সংস্কারের পর খুলবে ক্ষতিগ্রস্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো

এর আগের দিন ১৬ জুলাই আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই দিন রাতে অধিভুক্ত সব কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

দেশের ৩৮টি সরকারি মেডিকেল কলেজে প্রতিবছর ৫ হাজার ৩৮০ জন, ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৬ হাজার ২৯৩ জন শিক্ষার্থী এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান। আর সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটে ৫৪৫ জন, বেসরকারি ১২টি ডেন্টাল কলেজ এবং ১৬টি ডেন্টাল ইউনিটে ৫৪৫ জন শিক্ষার্থী প্রতি বছর ভর্তি হন। সব মিলিয়ে সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি।

চলতি বছরে সারা দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হয় গত ৫ জুন থেকে। এবছর দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেলে সর্বমোট শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন ৪ হাজার ৩৫০ আসনে এবং ৭২টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির হয়েছেন মোট ৬ হাজার ১৬৮ জন। এরপর থেকে বাকি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নবীন এসব শিক্ষার্থীদেরও কোটা আন্দোলন শুরুর পূর্ব পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত ছিল।


সর্বশেষ সংবাদ