‘গবেষণা নির্ভর ইংরেজি বিভাগ গড়তে কাজ করছি’

অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান
অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান  © টিডিসি ফটো

অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান। বর্তমানে দায়িত্ব পালন করেছেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে। দেশে এবং দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা-গবেষণায় সমৃদ্ধ গুণী এই অধ্যাপক পাঠদানের পাশাপাশি জোর দিচ্ছেন গবেষণা নির্ভর শিখন-কাঠামোয়। সম্প্রতি ইউআইইউ’র ইংরেজি বিভাগের পাঠ্যসূচি, পড়াশোনার পরিধি এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। গল্প-আলাপে সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরেছেন সংবাদ মাধ্যমটির নিজস্ব প্রতিবেদক খাঁন মুহাম্মদ মামুন-

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: কেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য ইউআইইউ’র ইংরেজি বিভাগকে বেছে নেবে?
অধ্যাপক কামরুল হাসান: প্রথমত, আমাদের এখানকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখযোগ্য দিকটি হচ্ছে—এখানে অনেক বেশি গবেষণার সুযোগ রয়েছে। এখানে আমরা শিক্ষার্থীদের গবেষণার বিষয় বা টপিক দিচ্ছি। তারা যখন তৃতীয় বর্ষে যাবে, তখন তারা এটি নিয়ে আরও বেশি কাজ করার সুযোগ পাবেন। আমি নিজেও গবেষণা করছি এবং আমাদের শিক্ষকরা গবেষণায় যুক্ত রয়েছেন। ফলে এখানে শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি গবেষণার সুযোগ পাবেন। দ্বিতীয়ত, আমি দীর্ঘসময় ধরে বিদেশে ছিলাম। আমি মালেশিয়া এবং থাইল্যান্ডে শিক্ষকতা করেছি। ফলে দেশের বাইরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। ফলে আমাদের শিক্ষার্থীরা দেশের বাইরের প্রতিষ্ঠানগুলোয়ও ভালো কিছু করার সুযোগ পাবেন।

এর বাইরে আমরা এখানে একটি ল্যাব প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছি, সেখানে শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষায় স্পিকিং, লিসেলিংসহ মোট চারটি বিষয়ের দক্ষতা বাড়াতে কাজ করা হবে। এতে আমাদের শিক্ষার্থীরা আরও বেশি দক্ষ হয়ে উঠবে। এখানে আমরা গবেষণানির্ভর কাজগুলোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে রাখতে কাজ করছি।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: শিক্ষার্থীদের জন্য এখানকার সিলেবাস কতটুকু হালনাগাদ রাখা হয়?
অধ্যাপক কামরুল হাসান: আমরা ইউজিসির নীতিমালা অনুযায়ী এখানে আউটকাম বেইজড এডুকেশন (ওবিই) চালু করেছি। এখানে দেশের এবং দেশের বাইরের শিক্ষার্থীদের বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে বাংলার পাশাপাশি অন্যান্য কোর্সগুলোও রাখা হয়েছে। এখানে সিলেবাস প্রতিনিয়ত হালনাগাদ করা হয়। আমাদের এখানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো আমলান্ত্রিক জটিলতা নেই, ফলে আমরা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিনিয়তই সিলেবাস হালনাগাদ করার সুযোগ পাচ্ছি।

আরও পড়ুন: গবেষণানির্ভর পাঠদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ইউআইইউ’র ইংরেজি বিভাগ

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: এখানকার শিক্ষার্থীরা কতটুকু হাতে-কলমে শেখার সুযোগ পাচ্ছেন?
অধ্যাপক কামরুল হাসান: আমাদের শিক্ষার্থীরা এখানে শ্রেণিকক্ষের পাশাপাশি বিষয়গুলো হাত-কলমে শেখার সুযোগ পাচ্ছে। সামনে আমাদের একটি নাটক প্রদর্শনী রয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা লেখালেখি এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাগুলো পাচ্ছে। আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করছি এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি আরও বাড়বে। ফলে আমাদের শিক্ষার্থীরা আরও বেশি বাস্তবমুখী এবং সময়োপযোগী বিষয়গুলো শেখার সুযোগ পাবেন।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: এখানকার পড়াশোনার পরিবেশ কেমন?
অধ্যাপক কামরুল হাসান: এখানকার পড়াশোনার পরিবেশ শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ উপযোগী। এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য সব ধরনের আয়োজন রয়েছে। আমাদের ল্যাব, হালনাগাদ সিলেবাস, সমৃদ্ধ লাইব্রেরিসহ সব ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের আগামীর জন্য প্রস্তুত করতে সহায়ক এবং আমাদের শিক্ষার্থীরা নিজেদের প্রমাণ করতে পারবেন। পড়াশোনার বাইরের বিষয়গুলোও নিয়ে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভালো মিথস্ক্রিয়া রয়েছে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: এখানকার শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক কতটুকু আন্তরিকতাপূর্ণ?
অধ্যাপক কামরুল হাসান: আমাদের এখানে দেশসেরা শিক্ষকরা রয়েছেন। তারা শিক্ষার্থীদের শেখানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন এবং আমাদের শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছেন। ফলে তারা ভালো শেখার সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়াও আমাদের এখানে দেশের বাইরে থেকে আসা শিক্ষকও রয়েছেন—তার সঙ্গে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের কাজ করছেন। ফলে তারা আরও বেশি শেখার সুযোগ পাচ্ছেন।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: এখানকার শিক্ষার্থীরা কতটা বাজার উপযোগী হিসেবে গড়ে উঠছে? আপনাদের আগামীর পরিকল্পনা কী?
অধ্যাপক কামরুল হাসান: আমরা শিক্ষার্থীদের সবগুলো বিষয় হাতে-কলমে শেখানোর চেষ্টা করছি। দেশ এবং দেশের বাইরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ এবং সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। এটি বাড়ানোর জন্য আমরা কাজ করছি। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের পূর্ণমাত্রায় আত্মবিশ্বাসী করতে চাই— এটি তাদের সব ধরনের কর্মক্ষেত্রে উপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করবে।


সর্বশেষ সংবাদ