আলাদা গণবিজ্ঞপ্তি নিয়ে যা বললেন মাউশির ডিজি

অধ্যাপক নেহাল আহমেদ
অধ্যাপক নেহাল আহমেদ  © ফাইল ছবি

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের বদলির বিষয়টি জটিল। তবে শিক্ষকদের বদলি প্রয়োজন। তারা নিজ বাড়ি থেকে অনেক দূরের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। কীভাবে শিক্ষকদের বদলির ব্যবস্থা করা যায় সেটি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

শনিবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।

তিনি বলেন, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) যখন গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তখন নিবন্ধনধারীদের অনেক সতর্কতার সাথে পছন্দক্রম দেওয়া দরকার। নিবন্ধনধারীরা যে পছন্দক্রম দেয় তার বাইরে তাদের সুপারিশ করা হয় না। কাজেই পছন্দক্রমের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।

আরও পড়ুন: পারস্পরিক বদলি নয়, আলাদা গণবিজ্ঞপ্তি চান শিক্ষকরা

শূন্য পদের বিপরীতে গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়ার সুযোগ নেই জানিয়ে অধ্যাপক নেহাল আহমেদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এনটিআরসিএ প্রতি তিন মাস পরপর শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করছে। এর কারণ বেকারদের চাকরির সুযোগ করে দেওয়া। শূন্য পদের বিপরীতে বদলির ব্যবস্থা করলে বেকারদের চাকরি পাওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।

ফেসবুকের একটি জরিপে ৫৯ শতাংশ শিক্ষক আলাদা গণবিজ্ঞপ্তির দাবি জানিয়েছেন, এ বিষয়ে আপনার মতামত কী? এমন প্রশ্নের জবাবে মাউশি ডিজি আরও বলেন, আগামীকাল রবিবার বদলি সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরিতে আমাদের সভা রয়েছে। সেই সভায় আমি শিক্ষকদের দাবির বিষয়টি তুলে ধরবো। তবে সেখানে আরও কর্মকর্তারা থাকবেন। আলাদা গণবিজ্ঞপ্তির জন্য সকলের মতামত থাকতে হবে।

আরও পড়ুন: বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা তৈরির সভা কাল

এদিকে শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের এক জরিপে ৫৯ শতাংশ শিক্ষক পারস্পরিক বদলির পরিবর্তে আলাদা গণবিজ্ঞপ্তির দাবি জানিয়েছেন। চার ঘণ্টাব্যাপী চলা এই জরিপে দেশের বিভিন্ন জেলা এবং স্কুল-কলেজের সাড়ে ৪ হাজারের বেশি শিক্ষক অংশগ্রহণ করেছেন।

জরিপে মোট ভোট পড়েছে ৪ হাজার ৫৭৭টি। এর মধ্যে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের জন্য আলাদা গণবিজ্ঞপ্তির দাবিতে ভোট দিয়েছেন ২ হাজার ৬৭৮ জন। শতকরায় যা মোট ভোটের ৫৯ শতাংশ।

জরিপে পারস্পরিক বদলি চান না এমন ভোটের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬টি। শতকরায় যা মোট ভোটের ২৪ শতাংশ। ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ রহিত করা ৭ নং পয়েন্ট প্রত্যাহার চেয়েছেন ৬৪০ জন। শতকরায় যা ১৫ শতাংশ। এছাড়া সমান ১ শতাংশ করে শিক্ষক পারস্পরিক বদলি এবং শূন্য পদের বিপরীতে বদলির দাবি জানিয়েছেন।


সর্বশেষ সংবাদ