বাকৃবির গবেষণা
ডেঙ্গু জ্বর ও ভাইরাসের সিরোটাইপ নির্ণয়ের প্রযুক্তি উদ্ভাবন
- বাকৃবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০১৯, ০৪:২০ PM , আপডেট: ০৭ আগস্ট ২০১৯, ০৪:২০ PM
ডেঙ্গুজ্বর মশাবাহিত (স্ত্রী এডিস মশা) একটি ভাইরাস রোগ। ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাসের চারটি সিরোটাইপ রয়েছে (ডেন-১, ডেন-২, ডেন-৩ ও ডেন-৪)। বাংলাদেশে এই জ্বরের ভাইরাস ১৯৬৪ সালে সর্ব প্রথম সনাক্ত হলেও ২০০০ সালে এই রোগ মহামারী আকারে দেখা দেয়। সেই সময় ডেঙ্গুজ্বর ভাইরাসের চারটি সিরোটাইপ দ্বারা হলেও টাইপ-৩ ভাইরাসটি ছিল প্রিডোমিনেন্ট।
ভাইরাসের সিরোটাইপ নির্ণয়ের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি মলিকুলার পদ্ধতির (মাল্টিপ্লেক্স আরটি-পিসিআর) উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম।
ওই প্রযুক্তির মাধ্যমে মাত্র দুই ঘণ্টায় ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি সিরোটাইপসহ চিকুনগুনিয়া ভাইরাসেরও সিরোটাইপ সঠিক ভাবে নির্ণয় করা যাবে। বুধবার সকাল ১০টার দিকে মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি।
অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কিট (এনএস-১) দ্বারা ডেঙ্গু জ্বর নির্ণয় করা গেলেও সেটি ভাইরাসের কোন সিরোটাইপ দ্বারা হয়েছে তা জানা যায় না।
এছাড়াও ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাস সঠিক ভাবে নির্ণয়ের জন্য (এনএস-১) কিটের এবং সেনসিটিভিটি এবং এটি কিভাবে সংরক্ষণ করা যায় তা নিয়ে গবেষকদের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে। ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত বিভিন্ন বয়সের ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর লক্ষণ ভিন্ন ভিন্ন হওয়ায় সিরোটাইপ (ডেন-৩) প্রিডোমিনেন্ট হলেও অন্যান্য সিরোটাইপও থাকার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম ২০০২ সালে এদেশের ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর রক্তের নমুনা থেকে ডেঙ্গু ভাইরাস টাইপ-৩ আইসোলেশন এবং সর্বপ্রথম ডেঙ্গু ভাইরাসের জীবন রহস্য উন্মোচন করেন।