পদার্থে নোবেল: ৫৫ বছর পর ম্যারি কুরির উত্তরসূরি ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৮, ০৬:৩৩ PM , আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৮, ০৬:৫১ PM
পদার্থবিদ্যায় যৌথভাবে নোবেল পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আর্থার আশকিন, ফ্রান্সের জেরার্ড মাওরো ও কানাডার ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড। মঙ্গলবার রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস এই ঘোষণা দেয়। বিবিসি’র খবরে বলা হয়, লেজার পদার্থবিদ্যার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী আবিষ্কারের তাদেরকে বিশ্বসেরা এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
এদিকে লেজারে নতুন গবেষণার পাশাপাশি দীর্ঘ ৫৫ বছর পর কোনো নারী পদার্থবিজ্ঞানীর নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার বিষয়টিও বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। জানা যায়, পদার্থে দেয়া নোবেল পুরস্কারের ইতিহাসে কানাডার ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড তৃতীয় নারী হিসেবে এই পুরস্কার পেলেন। এর আগে ১৯০৩ সালে ম্যারি কুরি এবং ১৯৬৩ সালে মারিয়া গোপোয়ের্ট-মায়ের পদার্থে নোবেল পুরস্কার পান।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ড. আশকিন ‘অপটিক্যাল টুইজার্স’ নামে একটি লেজার কৌশল আবিষ্কার করেন; যা জৈবিক পদ্ধতি পড়ার কাজে ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে ড. ম্যুরো এবং স্ট্রিকল্যান্ড উচ্চ তীব্রতা এবং খুবই সংক্ষিপ্ত লেজার স্পন্দন আবিষ্কার করেন; যার ব্যবহারে ভিন্নতা রয়েছে। এরমধ্যে একটি চোখের লেজার অস্ত্রোপচারে ব্যবহৃত হয়। কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্ট্রিকল্যান্ড এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘প্রথমেই আপনাকে এটা পাগলামি ভাবতে হবে। ওই সময় এটা ছিল আমার চিন্তা। আর এই পাগলামি যখন বাস্তবে রূপ নেয় তখনই আশ্চর্য লাগে।’
‘জিরার্ড আমার তত্ত্ববধায়ক ও মেন্টর ছিলেন। তিনি সিপিএ (চির্পড পালস অ্যামপ্লিকেশন)-কে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। অবশ্য এই কারণে তিনি নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। আমি খুবই খুশি আশকিন এই পুরস্কার জিতেছেন।’
প্রসঙ্গত, নোবেল কমিটি ১৯০১ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত ১১২ বার পদার্থে নোবেল পুরস্কার দিয়েছে। এরমধ্যে গত বছর জার্মান বংশোদ্ভূত রেইনার ওয়েইস ও মার্কিন দুই বিজ্ঞানী ব্যারি সি ব্যারিশ এবং কিপ এস থোর্নে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ অনুসন্ধানের স্বীকৃতিস্বরূপ যৌথভাবে পদার্থে নোবেল জিতেন।