ইবি শিক্ষার্থীর অভিনব আবিষ্কার
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০১৮, ০১:০৩ PM , আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০১৮, ০৩:২৫ PM
সাতক্ষীরা জেলার ছেলে সজীব সাহা। ছোট বেলা থেকেই নতুন নতুন জিনিস নিয়ে ভাবতে ভালবাসে সজীব। বিজ্ঞানের এই উৎকর্ষতার যুগে তার সেই সহজাত নেশা আর তীব্র হতে শুরু করে। মাথায় খেলা করে নানা ধরণা আর নতুন উদ্ভাবনী চিন্তা। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শেষে ভর্তি হয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েরেইলেক্ট্রিকাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। মার্স্টাসে অধ্যয়নরত সজীব ইতোমধ্যে অনেকগুলো প্রজেক্টে কাজ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ভয়েস কন্ট্রোলড হোম অ্যাপ্লিকেশন, সর্ট ডিসটেন্স রাডার ইউজিং আল্ট্রাসনিক, ডিসটেন্স মেজারমেন্ট ইউজিং আলট্রাসনিকসহ কয়েকটি প্রজেক্টের কাজ।
তবে এবার এক অভিনব রোবট আবিষ্কার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সবাইকে। নিজেই তৈরী করেছেন ‘স্মার্ট ফোন কন্ট্রোল অবজেক্ট পিকিং রোবট।’ এই রোবটের মাধ্যমে সম্পূর্ণ স্মার্ট ফোন দ্বারা কন্ট্রোল করে যে কোনো বস্তুকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া যাবে। এতে চার চাকা সমৃদ্ধ গাড়ি আছে যা কোন বস্তুকে পরিবহনের কাজে এবং উদ্ধার কাজে ব্যবহার করা যাবে।
রোবটটিতে একটি মেকানিকাল হাত আছে, যার মাধ্যমে যে কোনো বস্তুকে ১৮০ ডিগ্রী কোণে ঘোরানো যাবে। মেকানিকাল হাতটি ডানে-বামে, উপরে-নিচে সবদিকে ঘোরানো যাবে। এটি স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে রোবটি ৫০ মিটার পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, তবে প্রয়োজন অনুসারে ওয়াইফাই মডিউল ব্যবহার করলে অনেক দূর থেকে এটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। পাশাপাশি রোবটটির সাথে ক্যামেরা ও কালার সেন্সর ব্যবহার করা যায়, তবে এটি নির্দিষ্ট বর্ণের বস্তুকে নিজ থেকেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে চিনতে পারবে এবং অপারেটর ক্যামেরার ছবি দেখে অনেক দূর থেকেও যন্ত্রটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
যেসকল স্থানে যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ, সেখানে এ রোবটের মাধ্যমে বন্তু আনা বা পাঠানো যাবে। একজন অপারেটরের মাধ্যমে এমন অনেকগুলো রোবট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। বাণিজ্যিক ভাবে রোবটটি ব্যবহারের ফলে শিল্প প্রতিষ্ঠানে জনশক্তি নিয়োগ বাবদ ব্যয় হ্রাস পাবে। কম ঝুঁকিও।
জানতে চাইলে রোবটের আবিষ্কারক সজীব সাহা বলেন, ‘আমার জানা মতে এমন প্রজেক্টের কাজ বাংলাদেশে এই প্রথম। এটি খুবই সাশ্রয়ী। রোবটি তৈরিতে আমার মাত্র ৪ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে রোবটটির দ্বারা অনেক কাজ করানো সম্ভব হবে। যেমন, কলকারখানায় ব্যবহারের ফলে খরচ ও জনবল দুটিই কম প্রয়োজন হবে।’
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে সজীব বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমি বড় কোনো কোম্পানির ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে কাজ করতে চাই এবং দেশকে বিজ্ঞানের দিক থেকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিতে চাই।’