আগামী সপ্তাহে খুলতে পারে সেন্ট গ্রেগরিজ স্কুল অ্যান্ড কলেজ
- সোহরাওয়ার্দী কলেজ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৪ PM , আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৪ PM
ডেমরার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের নেতৃত্বের রাজধানীর ৩৫টি কলেজের শিক্ষার্থীরা সম্প্রতি সমন্বিতভাবে হামলা চালায় সোহরাওয়ার্দী কলেজে। এ সময় ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। এ ঘটনার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়ে সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা বিকেলে হঠাৎ অতর্কিত হামলা চালায় সেন্ট গ্রেগরিজ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে।
আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) হামলার এ ঘটনায় সেন্ট গ্রেগরিজ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শনে আসেন নটরডেম কলেজের অধ্যক্ষ ও গভর্নিং বডির সদস্যরা।
পরিদর্শনে শেষে নটর ডেম কলেজের অধ্যক্ষ ড. ফাদার হেমন্ত পীষুশ রোজারিও, সিএসই দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যাপীঠে এমন অতর্কিত হামলার নিন্দা জানাচ্ছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির এই অবস্থা দেখে অনেক দুঃখ লাগলো—কষ্ট লাগলো। আমরা যারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করি এ হামলা তাদের জন্য ভীতির সৃষ্টি করেছে।
সেন্ট গ্রেগরিজ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্লাস, পরীক্ষা কবে নাগাদ শুরু হতে পারে—এ বিষয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে অধ্যক্ষ ব্রাদার প্লাসিড পিটার রেবেইরো সিএসই বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত দেখতে চাই। ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয় মেরামতের কাজ যত দ্রুত সম্ভব আমরা করার চেষ্টা করছি। তবে আমরা সপ্তাহখানেক দেখতে চাই। আশাকরি অতি শিগগিরই আমরা আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে যাবো।
বক্তব্য প্রদানকালে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা ক্লাস, পরীক্ষা ও কুইজের বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে থাকো। পর্যাপ্ত সময় হাতে রেখেই তোমাদের সব পরীক্ষার সময়সূচি জানানো হবে।
সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেন্ট গ্রেগরিজ হাই অ্যান্ড কলেজ। সোমবার (২৫ নভেম্বর) কলেজের অধ্যক্ষ ব্রাদার প্লাসিড পিটার রেবেইরো সিএসসি স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যাপীঠটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বন্ধের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়ার আগ পর্যন্ত বিদ্যালয়ের মর্নিং শিফট, ডে শিফট ও কলেজ শাখার সব ক্লাস, পরীক্ষা ও অফিস কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিদ্যালয়ের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মেরামতের কাজ জরুরি, তবে তা সময়সাপেক্ষ। সবকিছু অনুকূলে আসার সঙ্গে সঙ্গেই বিদ্যালয়ের কার্যক্রম যথারীতি শুরু হবে।