দিনে সর্বোচ্চ কত কাপ কফি পান স্বাস্থ্যসম্মত
- আফরিন সুলতানা শোভা
- প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০২:২৫ PM , আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০২:২৫ PM
কফি অনেকেরই পছন্দের। কফি মস্তিষ্কের তীক্ষ্ণতা এবং সতর্কতা বাড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ঘুম ঘুম ভাব দূর করতেও কফির তুলনা নেই। কফি মাথা ব্যথা কমাতেও বেশ কার্যকর। এ ছাড়াও কফির আরও অনেক গুণ রয়েছে। । কফি শুধু স্বাদেই অনন্য নয়,পাশাপাশি এই পানীয় হার্টের রোগ, অবসাদ, ওজন কমানো, মন চাঙ্গা করার মতো কাজ করতে পারে। তাই কফি হয়ে উঠেছে আমাদের খুব কাছের একটি পানীয়।
তবে কোনো কিছুই বেশি খাওয়া ভালো নয়। তেমনি কফিও বেশি খাওয়া ভালো নয়। বিষয়টি অবশ্য অনেকেই জানেন না। তাই দিনে একের পর এক কফির কাপ ফাঁকা করতে থাকেন তারা। পরীক্ষায় দেখা গেছে, কফিতে থাকা ক্যাফেইন অ্যাংজাইটি, বিরক্তি-ভাব, রাগ, প্যানিক অ্যাটাক ইত্যাদি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়াও ক্যাফেইন মস্তিষ্কের স্বাভাবিক অবস্থায় বিঘ্ন ঘটায় বলে ‘ওয়েক-আপ এফেক্ট’-এ দেখা যায়।
কী বিপদ ডেকে আনতে পারে মাত্রাতিরিক্ত কফি:
১. প্রচুর পরিমাণে কফি এক সময়ে রক্তে ক্যাফিন বোঝাই করে দেয়। ফলে তার প্রতি আসক্তি তৈরি হতে থাকে। অন্যান্য নেশা যেমন হয়, তেমনই হতে থাকে কফি নিয়েও। নির্দিষ্ট সময় অন্তর কফি না পেলে মেজাজ খারাপ হতে থাকে।
২.রক্তে মাত্রাতিরিক্ত ক্যাফিন প্রভাব ফেলে হৃদযন্ত্রেও। ফলে এই অঙ্গের কাজকর্মও ব্যাহত হয়। এমনকি রক্তচাপও বদলে যেতে পারে।
৩.যারা প্রচুর পরিমাণে কফি পান করেন, তাদের অনেকের ঘুম কমে যায়। ফলে মস্তিষ্কের কাজও ব্যাহত হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন কফির পরিমাণ ৫০০ মিলি লিটারের বেশি হলেই নানান শারীরিক ঝুঁকি বাড়ে। বিকেলের পর কফি পান না-করাই ভালো। কারণ, এতে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া কফিতে থাকা ক্যাফে-স্টল উপাদান শরীরে কোলেস্টরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় আইসক্রিম!
বেশি কফি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও হতে পারে। দাঁতের ওপর নিকোটিনের মতোই প্রভাব ফেলে কফি। দীর্ঘদিন কফি পান করলে দাঁত হলুদ হয়ে যায় এবং ক্যাভিটি দেখা দেয়।
গবেষকরা বলেছেন, গর্ভাবস্থায় কফি পানের সঙ্গে শিশুর কম ওজনের যোগসূত্র আছে। বেশি পরিমাণে কফি পানে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়, ত্বকও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
দিনে সর্বোচ্চ কত কাপ কফি খাওয়া উচিত: গবেষণায় বলা হয়েছে, দিনে চার কাপের বেশি কোনোমতেই কফি পান করা উচিত নয়। তবে কোনো কোনো দিন ব্যতিক্রম হলে পাঁচ কাপ পান করা যেতে পারে। কিন্তু কোনোভাবেই এর বেশি নয়। এর বেশি খেলে উল্টো ফল হতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।