‘ফ্যাশনের উপকরণ’ কাপড়ের মাস্ক ওমিক্রন ঠেকাতে ব্যর্থ: গবেষণা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯:৩৮ AM , আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯:৪৮ AM
কাপড়ের মাস্ক করোনার ওমিক্রন ধরন ঠেকাতে পারে না বলে সতর্ক করেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তারা বলছেন, বর্তমানে বেশিরভাগ কাপড়ের মাস্ক কেবলই ‘ফ্যাশনের উপকরণ’ হয়ে উঠেছে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলের প্রধান ও প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসের প্রফেসর ট্রিস গ্রিনহালগ জানিয়েছেন, কাপড়ের মাস্ক ভালো হতে পারে আবার ভয়াবহ খারাপও হতে পারে। তবে তা নির্ভর করে মাস্কে কোন কাপড় ব্যবহার হয়েছে তার ওপর।
আরও পড়ুন: করোনা মহামারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন নয়
প্রফেসর ট্রিসের মতে, একাধিক উপাদানে তৈরি তিন স্তরের মাস্ক মোটামুটি কার্যকর। কিন্তু বর্তমানে বাজারে ছেয়ে গেছে পাতলা এক কাপড়ের ফ্যাশন মাস্ক, যা কোনো কাজেই লাগবে না।
আরও পড়ুন: স্কুলের পাঠ্যসূচিতে যুক্ত হচ্ছে করোনা
বিশেষজ্ঞদের দাবি, ওমিক্রন মারাত্মক সংক্রামক। তাই ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশেই এক স্তরের পাতলা সুতির মাস্ক পরা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একাধিক স্তরবিশিষ্ট মাস্কই পরতে হবে। তা না হলে কোভিডের আরও ভয়ানক একটি ঢেউয়ের সম্মুখীন হতে চলেছে ভারত, আশঙ্কা অনেকেরই।
এদিকে, কানাডায়ও এক স্তরের সুতির মাস্ক পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রফেসর গ্রিনহালগ বলেন, মূল বিষয় হলো কাপড়ের মাস্ক কোনো ধরনের হেলথ স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করে তৈরি করা হয় না। এ কারণে এটি না পরাই উত্তম।
আরও পড়ুন: করোনা পরবর্তী শিক্ষায় যে পরিবর্তন হতে পারে, করণীয় কী?
কাপড়ের মাস্কের বিষয়ে মন্তব্য করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও। তারা জানিয়েছে, আলাদা রকমের কাপড়ের তিনটি স্তরের মাস্ক ব্যবহারে সুফল পাওয়া যাবে। মাস্কের ভেতরের অংশটি হবে সুতির কাপড়ের। যা মুখ থেকে নির্গত ‘ড্রপলেটস’ শুষে নেবে। মাঝে থাকবে ‘পলিপ্রোলাইন’। সবশেষের স্তরটি হবে ‘পলিয়েস্টারের’। যা সংক্রমণ ঠেকাতে অধিক কার্যকর।