পহেলা বৈশাখ শুধু বাঙালির নয়, বাংলাদেশের প্রাণের উৎসব: সংস্কৃতি উপদেষ্টা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৩ PM , আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৩ PM

সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐক্য ও মেলবন্ধনের বড় একটি ধাপ। এটি শুধু বাঙালিরই নয়, বাংলাদেশে বাস করা অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী চাকমা, মারমা, গারোসহ সবার উৎসব।
আজ সোমবার (১৪ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলার আয়োজনে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, ‘দেশের সব জনগোষ্ঠী, সব ঐতিহ্য- সেই আকবর আমলের ঐতিহ্য, সুলতানি আমলের ঐতিহ্য সবকিছুর মিশ্রণ এখানে দেখবেন। তবে টিপিক্যাল রাজনীতির কিছু এখানে নেই।’
১৯৮৯ সালে চারুকলায় আনন্দ শোভাযাত্রা নামে বর্ষবরণ শোভাযাত্রা শুরু হয়েছিল। পরে ১৯৯৬ সালে এটিকে মঙ্গল শোভাযাত্রা নাম দেওয়া হয়। এবার কর্তৃপক্ষ এটিকে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা নাম দিয়েছে। এটি নিয়ে প্রশ্ন তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চারুকলার একদল শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: নতুন দিনের বার্তা দিয়ে শেষ হলো আনন্দ শোভাযাত্রা
এ বিষয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘চাপিয়ে দেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি, আগে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। নাম ছিল বর্ষবরণ শোভাযাত্রা যশোরে। সেখান থেকে ঢাকায় আসার পর নাম হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। এরপর চাপানো হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। এবার চারুকলা সিদ্ধান্ত নিয়েছে চারুকলায় যে নামে চালু হয়েছিল সে নামে শুরু হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা আসলে বাঙালির প্রাণের উৎসব আর নেই, অনেক দিন ধরে এটাকে আমরা বাঙালির প্রাণের উৎসব বানিয়ে রেখেছি। কিন্তু এটা বাংলাদেশের প্রাণের উৎসব। বাঙালি, চাকমা, মারমা, গারোসহ সব জাতিগোষ্ঠী বর্ষবরণ পালন করে। ফলে আমরা এটাকে বাংলাদেশের উৎসব হিসেবে পালন করা শুরু করলাম।’
আরও পড়ুন: বড় দামি অফিসে বসে তারা সংস্কারের কথা বলছে: তারেক রহমান
নববর্ষকে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐক্যের বড় উপলক্ষ্য উল্লেখ করে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘আমি মনে করি এটা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐক্য এবং সম্মিলনের একটি বড় ধাপ। আমরা হয়তো ২০-৩০ বছর পর থাকব না, কিন্তু আজকের বছরটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ এরপর থেকে বাংলাদেশ এভাবেই চলবে।’