শিক্ষা দিবসে যে দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছেন শিক্ষকরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২১, ০২:৩৭ PM , আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২১, ০৩:০৫ PM
মাধ্যমিক ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জাতীয়করণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট’।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিশ্ব শিক্ষক দিবস- ২০২১ উপলক্ষে তারা এ মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শিক্ষকতাকে এখনও পেশা হিসেবে না দেখে ‘ব্রত’ হিসেবে দেখা হয়। রাষ্ট্র চায় শিক্ষকরা কোনোমতে খেয়েপরে রাষ্ট্র বিনির্মাণকে মহান ব্রত মনে করে নিঃস্বার্থভাবে দায়িত্ব পালন করুক। তাই রাষ্ট্রীয় বাজেটে শিক্ষকদের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখা হয় না। স্বাধীনতার এতবছর পরেও আমরা জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষাকে সঠিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে পারিনি।
শিক্ষকদের ন্যায্য পাওনা ও সুবিধা থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে শিক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অসামান্য অবদানকে প্রকারান্তরে অস্বীকার করা হচ্ছে।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ না করে, কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা না বাড়িয়ে উপরন্তু শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে ৬ শতাংশের জায়গায় ১০ শতাংশ কেটে রাখা খুবই দুঃখজনক।
এ সময় তিনি ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের এবং শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রের সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।
শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, শিক্ষাব্যবস্থায় টেকসই উন্নয়নের জন্য শিক্ষায় বিনিয়োগের বিকল্প নেই। তাই আমরা এ মুজিববর্ষেই মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি জানাচ্ছি। আশা করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন।
মানববন্ধন করা শিক্ষকদের অপর সংগঠন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোটের নেতৃবৃন্দ বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষাকে জাতীয়করণ করতে দাবি জানাচ্ছি। এজন্য বর্তমান ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতাকে শতভাগে উন্নীতকরণ, জাতীয় বেতন স্কেল ভিত্তিক ৪৫-৫০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া প্রদান এবং ৫০০ টাকার মাসিক চিকিৎসা ভাতাকে মাসিক ১৫০০ টাকায় উন্নীতকরণ করতে হবে। এই খাতগুলোতে সরকারের বার্ষিক খরচ হবে ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার কোটি টাকা।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ করতে বর্তমান সরকারের একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রয়োজন। তাই অতিসত্বর এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ করা হোক।