নোবিপ্রবিতে ব্র্যাক আইটি’র প্রোগ্রামিং কনটেস্টে পাঁচ শিক্ষার্থীর চাকরি 

নিয়োগপত্র হাতে শিক্ষার্থী ও অতিথিবৃন্দ
নিয়োগপত্র হাতে শিক্ষার্থী ও অতিথিবৃন্দ  © টিডিসি ফটো

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) নোবিপ্রবি সিএসটিই ক্লাব ও ব্র্যাক আইটি কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত প্রোগ্রামিং কনটেস্টে চাকরির নিয়োগপত্র পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভিন্ন বিভাগের পাঁচ জন শিক্ষার্থী।

নিয়োগপত্র পাওয়া শিক্ষার্থী বলেন, সিএসটিই বিভাগের আতাহার উদ্দিন পুলক, আবদুর রহমান রনি, পলি আক্তার, মাহাবুব আলী আরজু এবং আইসিই বিভাগের সজীব বডুয়া।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্যারিয়ার সেমিনার ও প্রোগ্রামিং কনটেস্টে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে এ নিয়োগপত্র পান তারা। 

এদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ক্যারিয়ার সেমিনারের আয়োজন করা হয়। নোবিপ্রবির প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আসাদুন নবীর সভাপতিত্বে সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক আইটির চিফ টেকনোলজি অফিসার শাহ আলী নেওয়াজ তপু ও ব্র্যাক আইটির কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স অ্যান্ড অ্যাডমিন বিভাগের হেড অব এমপ্লয় এক্সপেরিয়েন্স কল্লোল নাগ। এছাড়াও সেশন মডারেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসটিই) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন।

অন্যদিকে সিএসটিই বিভাগে দিনব্যাপী প্রোগ্রামিং কনটেস্ট অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভাগের ১৩তম ব্যাচ থেকে ১৫তম ব্যাচের ডিগ্রিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রোগ্রামিং কনটেস্টে বিজয়ী ৩য় রানার আপ পলি আক্তার বলেন, আমি একেবারে অজপাড়া গা থেকে এসেছি। সেখানে আমার সমবয়সি যারা আছে তাদের কেউই অবিবাহিত নেই শুধু আমি ছাড়া। আমার মা-বাবা সব সময় চেয়েছেন আমি নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে কিছু একটা করি। তারা আমার ডানা কেটে দেননি। বরং ডানা বাড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। সেই জন্য তাদের প্রতি অনেক অনেক বেশি কৃতজ্ঞতা। একই সাথে ব্র্যাক আইটি কেও ধন্যবাদ আমাকে এই সুযোগ দেয়ার জন্য।

তিনি আরো বলেন,  প্রথমে নোবিপ্রবিতে এসে নিজেকে খুব বেশি ছোট মনে হত। কিন্তু আস্তে আস্তে সেসব বাধা দূর করে সামনে এগিয়ে এসেছি। এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পাই। আমি মেয়েদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, মেয়েরা এখন সব জায়গায় এগিয়ে যাচ্ছে। শুধু দরকার নিজের মধ্যে একটু সাহস। তাহলেই সব কিছুতেই মেয়েরা উন্নতি করতে পারবে।

সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক বলেন, আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ব্র্যাক আইটিতে আমাদের পাঁচজন শিক্ষার্থী সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি পেল। আমি আশা করি তারা নোবিপ্রবির অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ভূমিকা পালন করবে। তাদের কাজ দেখে যেন ব্র্যাক আইটির মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও নোবিপ্রবিতে আসে এবং এমন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নত মানের গ্র্যাজুয়েট তৈরি করতে চাই যারা বুয়েট বা বড় বড় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সাথে কম্পিটিশন করবে। 

ব্র্যাক আইটির চিফ টেকনোলজিক্যাল অফিসার শাহ আলী নেওয়াজ তপু বলেন, আমরা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার মূল উদ্দেশ্য হল এখানকার মেধাবী শিক্ষার্থীদের মেধাকে কাজে লাগানো। যাতে তারা চাকরির বাজারে দ্রুত ঢুকতে পারে। ব্র্যাক আইটি মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মেধাবীদের কাজে লাগানো। আমাদের মেগা একটি প্রজেক্ট চলছে যেটা প্রায় ২০ মিলিয়ন ডলারের। সেই প্রজেক্ট সম্পন্ন করার জন্য আমাদের দক্ষ জনবল প্রয়োজন। 


সর্বশেষ সংবাদ