ভর্তি বাতিলে টাকা নিচ্ছে যবিপ্রবি

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © টিডিসি ফটো

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) বিনা রিসিটে ভর্তি বাতিলের জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করেছেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি বাতিল করতে আসা এক শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছেন, ভর্তি বাতিলে টাকা নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে বিভাগের চেয়ারম্যান বলছেন নিয়ম আছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম আঁখি রানী। তিনি মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার বাসিন্দা। তার পিতা পেশায় একজন কৃষক। ভর্তি বাতিলের জন্য টাকা নেওয়ার বিষয়ে আঁখি বলেন, গত শনিবার যবিপ্রবিতে ভর্তি বাতিল করতে গিয়েছিলাম। ভর্তি বাতিলের বিষয়ে আমি আমার পরিচিত কয়েক জনের সাথে কথা বললে তারা আমাকে জানিয়েছিলেন ভর্তি বাতিল করতে কোন টাকা লাগেনা। কিন্তু আমি যখন বিভাগে ভর্তি বাতিল করার জন্য যাই তখন একজন অফিস সহকারী আমার কাছে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে আমি চেয়ারম্যান স্যারের সাথে কথা বললে তিনিও একই কথা বলেন।

আরও পড়ুন- ভর্তির আগেই সেশনজটে গুচ্ছের শিক্ষার্থীরা 

এরপরে আমি চেয়ারম্যানকে ভর্তি বাতিলে টাকা নেয়ার নিয়ম না থাকার কথা জানাই। তিনি আমাকে বলেন, ভর্তি বাতিল করতে জরিমানা দিতে হবে। আজ টাকা না দিতে পারলে কাল আবার টাকা নিয়ে এসে ভর্তি বাতিল করে যেও। পরবর্তীতে আমি ভর্তি বাতিলের জন্য দুইটি আবেদন পত্র লিখি চেয়ারম্যান ও রেজিস্ট্রার বরাবর। এরপর বিভাগের অফিস সহকারী কাছে জমা দিতে গেলে তিনি আমাকে তিনহাজার টাকা দিতে বলেন। টাকা দেওয়ার সময় আমার পারিবারিক অবস্থা জানালে পরবর্তীতে একজন শিক্ষক ফোনে আমাকে ৫০০ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বললে আমার অনুরোধে ১০০০ টাকা দেয় কিন্তু টাকা নেওয়ার কোন প্রমাণপত্র বা রিসিট দেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিয়মানুসারে ভর্তি বাতিলের জন্য কোন টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। যদি আমাদের কাছে এই ধরণের অভিযোগ আসে তাহলে আমরা আইন অনুসারে ব্যবস্থা নিবো।

আরও পড়ুন- ফেল করায় ২৩ শিক্ষার্থীকে ছাড়পত্র দিচ্ছে রাজউক স্কুল

ভর্তি বাতিলে টাকা নেওয়ার বিষয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান আলমগীর বাদশার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভর্তি সম্পন্ন হওয়ার পর কোন শিক্ষার্থী যদি ভর্তি বাতিল করে তাহলে আমাদের একাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদেরকে নির্ধারিত পরিমাণ টাকা দিতে হয়। আমাদের বিভাগের ক্ষেত্রে সেটা তিন হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন টাকা না। এই টাকা বিভাগে ফান্ডে জমা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ