শাবি বন্ধ হলেও চলবে ভর্তি কার্যক্রম
- শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ০৮:২৯ AM , আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ০৮:২৯ AM
শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়টির ভর্তি কার্যক্রম চলমান থাকবে। বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কার্যক্রমে কোন ধরনের প্রভাব ফেলবে না। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পর সোমবার রাতে ভর্তি কমিটি সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তথ্যমতে, ২০২০-২১ সেশনে সোমবার (১৭ জানুয়ারি) শাবির দ্বিতীয় ধাপের ভর্তি শুরু হওয়ার কথা। চলবে মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) পর্যন্ত। প্রথম ধাপের ভর্তি শেষে দুই ইউনিট মিলিয়ে ১ হাজার ৫৮৭ আসনের বিপরীতে ৪০৭ জন ভর্তি হয়। যা মোট শিক্ষার্থীর ২৫ শতাংশ। আসন ফাঁকা আছে ৭৫ শতাংশ অর্থাৎ ১ হাজার ১৮০টি।
আরও পড়ুন: অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ শাবি, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুশতাক আহমেদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আগের মতো স্বাভাবিকভাবেই আমাদের পরবর্তী ভর্তি কার্যক্রম চলমান থাকবে। ভর্তি চলাকালে কোনো অসুবিধা হলে পরে সেটার ব্যবস্থা গ্রহণ করব। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়ায় ভর্তি কার্যক্রমে কোন ধরনের প্রভাব ফেলবে না।
এদিন সকাল ৯টায় বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’-১ ইউনিটে মেধাতালিকা ৯৫৬-১৯৫৫ পর্যন্ত ও দুপুর ১টায় ‘এ’-২ ইউনিটে ৩১-৩৪ পর্যন্ত মেধাতালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য ডাকা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হল না ছাড়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের, ভিসির পদত্যাগ দাবি
অন্যদিকে আগামীকাল ১৮ জানুয়ারি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সকাল ৯টায় ২২১-৫২০ পর্যন্ত, বাণিজ্য বিভাগের ৮৪-১৬৩ পর্যন্ত ও মানবিক বিভাগের ৩০০-৬৯৯ পর্যন্ত মেধাতালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য ডাকা হয়েছে।
এর আগে, গতকাল রবিবার রাতে পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষের পর অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধের ঘোষণা দেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এ ঘোষণার পর ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। তবে এতে হতাশা-দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ
চলমান ভর্তি কার্যক্রমের বিষয়ে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে গেলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভর্তি কার্যক্রম চলবে। কীভাবে কত পর্যন্ত ডাকলে কয়েকটি কলে আসন সম্পূর্ণ হবে সে অনুযায়ী প্ল্যান করে ডাকা হচ্ছে। ভর্তি কার্যক্রম যেন দীর্ঘায়িত না হয় সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে চাই।