ছাত্রলীগের ঘোষিত কর্মসূচির প্রতিবাদে মধ্যরাতে উত্তাল যবিপ্রবি
- যবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:১৯ AM , আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:১৯ AM
![মধ্যরাতে যবিপ্রবিতে মশাল মিছিল শিক্ষার্থীতের](https://cdn.thedailycampus.com/resources/img/article/202501/168638_126.jpg)
নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঘোষিত কর্মসূচির প্রতিবাদে মধ্যরাতে উত্তাল যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে এগারোটায় মশাল হাতে মিছিল বের করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি শহীদ মসিয়ূর রহমান হল থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
জানা যায়, নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যবিপ্রবি শাখার ফেসবুক পেইজ থেকে বুধবার আনুমানিক রাত ১০ টায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ঘোষিত ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির একটি বিজ্ঞপ্তি শেয়ার করে। বিষয়টি শিক্ষার্থীদের নজরে আসলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তাৎক্ষণিক মশাল মিছিলের ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা 'লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই', 'অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন', 'কুত্তালিগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন', 'ছাত্র সমাজের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন', 'আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ', ছাত্রলীগের ঠিকানা এই ক্যাম্পাসে হবে না' ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।
এ সময় পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রকিব হাসান রাফি বলেন, ‘খুনি হাসিনার দোসর লীগ ১-৫ ফেব্রুয়ারি লিফলেট বিতরণ ও ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। জুলাই আন্দোলনের রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি, তারা এরকম কর্মসূচি পালনের সাহস পায় কীভাবে? যশোরের আন্দোলন যবিপ্রবি থেকে শুরু হয়েছে, ছাত্রলীগের এমন পোস্ট ও কর্মসূচির বিরুদ্ধেও প্রথম আন্দোলন যবিপ্রবি থেকেই শুরু হয়েছে। আমাদের এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’
সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার থাকার আহ্বান জানিয়ে রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আরমান বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্ব ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। তাঁদের উচিত সেই অবস্থান থেকে বের হয়ে ছাত্রজনতার পক্ষে দাঁড়ানো। ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের উপর কড়া নজরদারি রেখে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’
উল্লেখ্য, ছাত্রজনতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ড. ইউনুসকে বিদায়ের লক্ষ্যে শেখ হাসিনার আহ্বানে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে ফেব্রুয়ারিতে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করে নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ১-৫ ফেব্রুয়ারি লিফলেট ও প্রচারপত্র বিলি, ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ, ১০ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ সমাবেশ, ১৬ ফেব্রুয়ারি সড়ক, রেল, জল, বিমান, বন্দরে অবরোধ, ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতাল।