‘বিয়ের অনুষ্ঠান-মালামাল-বহিরাগত’ সব টানে পবিপ্রবির বাস

পবিপ্রবির বাস
পবিপ্রবির বাস  © টিডিসি ফটো

নানা অনিয়মের অভিযোগে জর্জরিত পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন শাখা। বিশেষ করে বাসে যাতায়াতের ক্ষেত্রে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সবচেয়ে বেশী। শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীরা প্রায়ই বাহিরাগতদের ভাড়ায় বাসে উঠান। মাঝে মাঝে বহিরাগতদের ভিড়ে বাসে সিট পান না শিক্ষার্থীরা।

পরিবহনে যাতায়াতকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীরা জানান, পরিবহনের অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ দেওয়া হলেও তাতে কর্ণপাত করেন না দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীরা। তাছাড়া প্রায়শই অতিরিক্ত ভিড় থাকা সত্ত্বেও বাসে অনেক কর্মচারীদের নিয়ম বহির্ভূতভাবে মালামাল আনা নেওয়া করেন। মাঝে মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আত্মীয়-স্বজনের বিবাহসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানাদিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ব্যবহার করতে দেখা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস সার্ভিস শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য হলেও তাতে প্রায়ই বহিরাগতদের জন্য আমাদের যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটে। বিশেষ করে সকালের বাসে সমস্যাটি আরও প্রকটভাবে ধারন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য। এ বাস বিয়ের অনুষ্ঠান, মালামাল টানবে কেন?

আরও পড়ুন: বশেমুরকৃবিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন পবিপ্রবি

অবশ্য শিক্ষার্থীদের এ অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, পরিবহনের এ ধরনের অভিযোগ আগেও পাওয়া গেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি। সামনে এ ধরনের আরও কোনো অনিয়ম দেখলে শিক্ষার্থীরা যেন সরাসরি লিখিতভাবে জানায়।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা হলো ক্যাম্পাসের প্রাণ। কোনো কিছুতে শিক্ষার্থীদের অসুবিধা হবে তা কখনোই কাম্য নয়। পরিবহন শাখাসহ সকল জায়গার শৃঙ্খলা রক্ষার্থে শিক্ষার্থীসহ সকলকেই দায়িত্বশীলতার ভূমিকা রাখতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্তের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটলে শিক্ষার্থীদের সরাসরি লিখিতভাবে ছবি সহকারে অভিযোগ জানানো উচিত। আমরা তাদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাস ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ নিয়ম বহিঃর্ভূত। পরিবহন শাখার এ অনিয়মের সমাধানে আমি নিজে বর্তমানে এর তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব নিয়েছি। আশা করছি সামনে আমরা এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো। 

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের আনীত অভিযোগসমূহ স্বীকার করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. কামরুল ইসলাম এ সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, পরিবহনের অনিয়ম নিয়ে কখনো কোন শিক্ষার্থী আসেননি, তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।


সর্বশেষ সংবাদ