৪৩তম বিসিএস
অ্যাডমিন ক্যাডার থেকে বাদ পড়া প্রার্থীর আবেগঘন স্ট্যাটাস ভাইরাল
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪২ PM , আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৯ AM
৪৩তম বিসিএসের চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। প্রথম গেজেটে ২ হাজার ৬৪ জন সুপারিশ পেলেও সদ্য প্রকাশিত গেজেট থেকে এক হাজার ৮৯৬ জনকে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাদ পড়েছেন ১৬৮ জন। তাদের একজন প্লাবন সাহা। তিনি প্রথম গেজেটে অ্যাডমিন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। তবে আজ প্রকাশিত গেজেটে নিজের নাম না দেখে তিনি ফেসবুকে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন, প্রকাশ করেছেন তার অনুভূতি, তার ওই স্ট্যাটাস ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) প্লাবন সাহা তার নিজস্ব ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দেন। তার ওই স্ট্যাটাস ইতিমধ্যে প্রায় দেড় হাজার মানুষ শেয়ার করেছেন।
জানা গেছে, প্লাবন সাহা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক শিক্ষার্থী। বর্তমানে পড়াশোনার জন্য আমেরিকায় আছেন। তার গ্রামের বাড়ি রংপুর।
প্লাবন তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ৪৩তম বিসিএসের রিগেজেটে দেখলাম আমার নাম নাই, আমি দেশের বাইরে থাকায় এই জিনিসগুলো নিয়ে খুব বেশি কানেক্টেড ছিলাম না। টুকটাক খবর পাইতাম, রিগেজেট ব্যাপারটা যা বুঝলাম, কারও কোন পলিটিক্যাল এফিলিয়েশন বা কোন প্রিভিয়াস রেকর্ড থাকলে সেটা চেক করে হয়ত। আমি বা আমার ইমিডিয়েট ফ্যামিলির কখনই কোন প্রকার পলিটিক্যাল এফিলিয়েশন ছিল না, আমার নামে কোন সুপারিশও করা নেই, তাই আমার নাম গেজেটে না থাকার ব্যাপারটা একটু খটকা লাগল। আমি মোটামুটি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি, আমাকে নন গেজেটেড করার কোন কারণ আমি দেখি না।
তিনি আরও লিখেছেন, একটু খোঁজ নিয়ে দেখলাম, সব ক্যাডার মিলায়ে বাদ পড়েছে প্রায় ১৬৮ জন। সংখ্যাটা অনেক বড়, এর মধ্যে অনেককে আমি চিনি, যাদের সাথে কোন পলিটিক্যাল এফিলিয়েশন নাই। আর একটু খোঁজ নিয়ে জানলাম, ৪৩তম বিসিএস অ্যাডমিন থেকে যতজন বাদ পড়ছেন, তার প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি সনাতনী (হয়ত বা এটা কোইনসিডেন্স)। আমি নিজে কখনই বিশ্বাস করি না যে , ধর্ম ও এইসব ব্যাপারে কাউকে ভেরিফাই করার একটা ক্রাইটেরিয়া হতে পারে, আমি বিশ্বাস করতেও চাই না এটা হয়েছে, অন্য কারণ অবশ্যই আছে। জাস্ট কারণটা জানি না, কিন্তু যদি ধর্ম আসলেও কারণ হয় তাহলে একটা কথাই বলি: ‘সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে’।
প্লাবন সাহা আরও লিখেছেন, ‘আমার ফ্যামিলি বরাবরই আমাকে বলে আসছে, যাতে আমি আমেরিকাতেই আমার পিএইচডিটা শুরু করি। কিন্তু আমি কেন জানি চাইতাম, এত দূর যখন আসছি চাকরিটা করি, আমার একদম ছোট থেকে ইচ্ছা ছিল একদম ফিল্ড লেভেলে থেকে মানুষের জন্য কিছু করার। স্কুল লাইফ থেকে এই জবটা একটা শখ হয়ে উঠছিল। আমেরিকাতে আমার একটা জব অফারও আছে, আমার পিএইচডি অ্যাপ্লাইয়ের সুযোগও আছে ,কিন্তু তাও মোটামুটি ঠিক করছিলাম জয়েনিং দিলেই দেশে যাব, একদম প্রান্তিক কোন একটা উপজেলায় হয়ত পোস্টিং হবে। সেখানকার মানুষগুলোর সাথে একটা নতুন পরিবেশ, নতুন অভিজ্ঞতা, ভালোই হবে। আর যতটুকু কাজ করার সুযোগ পাই ওনাদের জন্য, সেটা তো করবোই। কিন্তু এই রিগেজেট টা দেখে আমি আসলেই হতবাক। এখন মনে হচ্ছে ফ্যামিলির লোকজন অনেক ভেবেচিন্তেই বলছিল, যাতে বিদেশেই থেকে যাই। তারপরও মানুষের শখ বা স্বপ্ন বলে তো একটা জিনিস থাকে, কী জানি, বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করলে থাকে না মনে হয়!’