রিজার্ভে স্থিতিশীল ঊর্ধ্বগতি, পৌঁছেছে ২৬.৩৯ বিলিয়ন ডলারে

  © সংগৃহীত

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার, যা প্রায় ২ হাজার ৬৩৯ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্ধারিত হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুসারে এই রিজার্ভের পরিমাণ ২১ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ১১১ কোটি ৪৪ লাখ ডলার।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “বর্তমানে রিজার্ভ সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। আইএমএফের ঋণপ্রাপ্তির অন্যতম শর্ত ছিল নিট রিজার্ভ জুনের মধ্যে নির্দিষ্ট মাত্রায় রাখা। আমরা আশাবাদী, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সেই শর্ত পূরণ করতে পারবো।”

এর আগে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার এবং আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী ছিল ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার। তারও আগে, ৬ এপ্রিল পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী ২০ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আইএমএফের ঋণের শর্ত অনুযায়ী জুন মাসের মধ্যে নিট রিজার্ভ থাকতে হবে ১৭ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। তবে বর্তমানে নিট রিজার্ভ রয়েছে প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলারে, অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার কম।

এদিকে সদ্য বিদায়ী মার্চ মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল আশাব্যঞ্জক। ওই মাসে দেশে এসেছে ৩২৯ কোটি মার্কিন ডলার, যা এক মাসে প্রাপ্ত রেমিট্যান্সের হিসাবে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

পরপর কয়েক মাস ধরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধির এই ধারা ধরে রাখা গেলে বৈদেশিক খাতের স্থিতিশীলতা আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। আইএমএফের নির্ধারিত শর্ত পূরণ করে সময়মতো ঋণের পরবর্তী কিস্তি পাওয়া সম্ভব হবে বলেও তারা আশা প্রকাশ করছেন।


সর্বশেষ সংবাদ