এনটিআরসিএ’র সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বদলি নিযে যা জানাল মাউশি

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক  © ফাইল ছবি

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা জারি করেছে সরকার। এই নীতিমালার আলোকে সফটওয়্যার তৈরিসহ বেশ কিছু কাজ শেষ করার পর বদলির প্রক্রিয়া চালু করার কথা জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। তবে কবে নাগাদ শিক্ষকরা বদলি হতে পারবেন, সে বিষয়ে মাউশি কর্মকর্তারা কিছু জানাতে পারেনি।

এ বিষয়ে মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস.এম জিয়াউল হায়দার হেনরী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বদলি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের আলোচনা হয়েছে। সফটওয়্যার তৈরিসহ বেশ কিছু বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এই বিষয়গুলো সমাধানের পর বদলি কার্যক্রম শুরু করা হবে।’

মাউশি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সংস্থাটির নিয়মিত মহাপরিচালক নেই। ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক দিয়ে ‘দায়সারা’ কাজ চালাচ্ছে মন্ত্রণালয়। নিয়মিত ডিজি না থাকার কারণে গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না মাউশি। এমনকি বদলির কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে ইতিবাচক কোনো সিদ্ধান্তও নেওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: আরও এক লাখ শিক্ষকের ইএফটিতে বেতন আগামী সপ্তাহে

 ওই সূত্র আরও জানায়, চলতি বছর থেকেই শূন্য পদের বিপরীতে বদলি কার্যক্রম শুরু করতে চায় মাউশি। এজন্য নিয়মিত মহাপরিচালকের অধীনে সভা করতে চায় সংস্থাটির দায়িত্বশীলরা। বিষয়টি নিয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি কর্তাব্যক্তিরা। দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ না করলে বদলির সুফল পেতে শিক্ষকদের আরও দেরি করতে হবে।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে মাউশির উপপরিচালক পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা গতকাল বুধবার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘মাউশির নিয়মিত ডিজি অধ্যাপক নেহাল আহমেদ অবসর গ্রহণের পর রুটিন দায়িত্ব দেওয়া হয় অধ্যাপক রেজাউলি করিমকে। পরবর্তীতে তার মেয়াদ শেষ হলে বর্তমানে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন উইংয়ের পরিচালক প্রফেসর ড. একিউএম শফিউল আজমকে ভারপ্রাপ্ত ডিজির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা কেউই বদলি কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।’

এই কর্মকর্তা আরও জানান, ‘আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষকরা বদলির সুযোগ পাক। এজন্য দ্রুত সফটওয়্যার তৈরিসহ অন্যান্য কার্যক্রম শুরু করতে হবে। বিষয়টি মৌখিকভাবে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। নিয়মিত ডিজি অথবা রুটিন দায়িত্বে থাকা ডিজিকে ক্ষমতা দেওয়া হলে তবেই বদলির কার্যক্রম শুরু করা যাবে। কার্যক্রম শুরু না হওয়া পর্যন্ত কবে থেকে বদলি চালু হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা সম্ভব হবে না।’

উপপরিচালক পদমর্যাদার এই কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে পাইলটিং আকারে নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলের শিক্ষকদের বদলির সুযোগ দেওয়া হবে। ধাপে ধাপে এনটিআরসিএ’র সুপারিশপ্রাপ্ত সব শিক্ষকই বদলির সুযোগ পাবেন।

এদিকে চলতি বছর থেকেই এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে বদলি করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। বুধবার (৮ জানুয়ারি) এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন উপদেষ্টা। 

উপদেষ্টা বলেন, বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে। এটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হবে। এক্ষেত্রে নারী-পুরুষ এবং বাড়িসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বিবেচনা করা হবে। আমি এসব মৌলিক কাজ করছি। ইতোমধ্যে ৫৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি দিয়ে শান্ত করেছি। এটা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল।  


সর্বশেষ সংবাদ