শিশুরাই আমাদের সম্পদ : মেহের আফরোজ চুমকি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০১৮, ০১:১৪ PM , আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৮, ০১:১৪ PM
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, আজকের শিশুরাই আমাদের সম্পদ। ২০৪১ সালে উন্নত বিশ্বের তালিকায় যখন আমাদের পতাকা উড়বে, তারাই এ পতাকা ধরে রাখবে। তিনি বলেন, যেসব শিশু বিভিন্নভাবে বঞ্চিত তাদের নিয়ে আমরা স্বপ্ন দেখি। যারা খাদ্য, পুষ্টি, চিকিৎসা, শিক্ষাসহ অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত তাদের আমরা সুযোগ দিতে পেরেছি।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হল মাঠে আয়োজিত সুবিধা বঞ্চিত ও পথশিশুদের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ‘পড়তে শিশুর ভবিষ্যৎ, স্কুল হবে নিরাপদ’ স্লোগানকে ধারণ করে শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০১৮ উপলক্ষে এই সমাবেশের আয়োজন করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়।
মন্ত্রনালয়ের সচিব নাছিমা বেগমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর চেয়ারম্যান সেলিনা হোসেন, জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অসীম সরকার।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটা শিশু জন্ম হলে পরিবারে আনন্দের জোয়ার বয়ে যায়। কিন্ত অনেক দুর্ভাগা শিশু আছে যারা দারিদ্র্র্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি কারণে বাড়ি ছাড়া হয়ে যায়। তারা কোথায় যাবে? এর ফলে তারা নানা ধরণের অন্যায়ের সাথে জড়িত হয়। অনেকেই মাদকের সাথে যুক্ত হয়। যেটা আমাদের দেশে উন্নয়নের কাজে মারাত্মক সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়। এসব শিশুদের জন্য তেজগাঁও, কমলাপুর, বিমানবন্দর রেল স্টেশনসহ ৮টি জায়গায় স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে শিশুদের জন্য ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যাতে শিশুরা এসব জায়গা থেকে দেশ সেবায় অংশ নিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, অনেক শিশু রয়েছে যারা তাদের জন্ম তারিখ জানেনা। সরকার তাদের জন্ম নিবন্ধন পদ্ধতি চালু করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন, সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের একজনও যেন সরকারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয়। দেশের ১৬ কোটি মানুষ যদি খেতে পারে তবে এসব সুবিধা বঞ্চিত পথ শিশুরা কেন না খেয়ে থাকবে? এসব শিশুদের জন্য আমাদের যা করা দরকার সবই করা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে নাছিমা বেগম শিশুদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের যত রকমের সুবিধা দেয়া যায় আমরা দেব। আমাদের লক্ষ্য, একটি শিশুও এই সুবিধা থেকে বাদ যাবে না। তবে তোমরা দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করবে। এই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে গেলে দেশ উন্নত বিশে^র তালিকায় পৌছাবে। এজন্য সবাইকে ৪১ সালের ভিশনে অংশ নিতে হবে।