প্রভাষক তাহমিনার আগুনে পুড়ে মৃত্যু দুর্ঘটনা নয়, ‘হত্যাকাণ্ড’

আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া কলেজশিক্ষক তাহমিনা মুনা
আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া কলেজশিক্ষক তাহমিনা মুনা  © ফাইল ছবি

কুমিল্লা নগরীর রেসকোর্স এলাকায় গ্যাসের আগুনে দগ্ধ কলেজশিক্ষক তাহমিনা মুনার মৃত্যু দুর্ঘটনা নয়, হত্যা বলে দাবি করেছে পরিবার। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে তার ভগ্নিপতি তারেকুল ইসলাম মামলাটি করেন।

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুর রহমান বলেন, নিহতের ভগ্নিপতি বাদী হয়ে মামলা করেছেন। তাহমিনা মুনার স্বামী সুমন সালাউদ্দিনকে এতে আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তাকে ধরতে অভিযান চলছে।

রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে প্রায় এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থেকে গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাহমিনা মুনার মৃত্যু হয়। ৩২ বছরের তাহমিনা কুমিল্লা মডেল কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। তার বাবার বাড়ি নগরীর পাথুরিয়াপাড়ায়। চান্দিনা উপজেলার হারং ভূইয়া বাড়ির নাট্যকর্মী ও আবৃত্তিশিল্পী সুমন সালাহউদ্দিনের স্ত্রী তিনি।

আরো পড়ুন: বাঁচানো গেল না আগুনে দগ্ধ সেই কলেজ প্রভাষককে

সালাহউদ্দিন ঘটনার পর জানিয়েছিলেন, তাহমিনাকে নিয়ে নগরীর রেসকোর্সের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত ২৯ আগস্ট মধ্যরাতে সেই বাসায় চুলা থেকে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হন তাহমিনা। এ সময় তাকে রক্ষা করতে গিয়ে দগ্ধ হন সুমন নিজেও। পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

তখন চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, আগুনে তাহমিনার কোমরসহ শরীরের প্রায় ৬৬ শতাংশ পুড়ে গেছে। মুনা ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৫ সাল থেকে কুমিল্লা মডেল কলেজে প্রভাষক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ