‘পরকীয়া প্রেমিককে কাছে পেতে ৩ সন্তানকে বিষপান করান মা’

মা ফাহিমা ও তার দুই ছেলে
মা ফাহিমা ও তার দুই ছেলে  © সংগৃহীত

পরকিয়া প্রেমিককে কাছে পেতে নিজের তিন সন্তানকে জুসের সাথে বিষপান করিয়ে হত্যা করতে চেয়েছিল তাদের মা ফাহিমা খাতুন। এতে করে তাদের মধ্যে ৭ বছরের এক ছেলে মারা গেলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় দুই শিশু। এমন পাষাণ্ড ঘটনাটি ঘটেছে হবিগঞ্জে।

এদিকে মা ফাহিমা খাতুন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়নের উচাইল-চারিনাও গ্রামের ইজিবাইকচালক সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী।

মঙ্গলবার(১ ডিসেম্বর) রাতে জেলার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, মঙ্গলবার হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব তথ্য দেয় মা ফাহিমা খাতুন। আদালতে স্বীকারোক্তি প্রদান শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ফাহিমা খাতুনের সঙ্গে পাশের বাড়ির আক্তার মিয়ার পরকীয়ার সম্পর্ক চলছিল। আক্তার মিয়া একাধিকবার বিয়েও হয়েছে। একপর্যায়ে তারা ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ফাহিমার তিন সন্তান। ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের দোকান থেকে ফাহিমা দুটি লিচুর জুস ক্রয় করে এনে প্রেমিক আক্তার মিয়ার হাতে দেয়। আক্তার মিয়া জুসে বিষ মেশায়।

পরে আক্তার মিয়া ও ফাহিমা খাতুন তিন সন্তানকে উঠান থেকে ডেকে এনে জুসপান করায়। এর পরই বিষক্রিয়ায় ফাহিমার তিন শিশুসন্তান ছটপট করতে থাকে।

পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় শিশুদের হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে ফাহিমার সাত বছরের শিশুকন্যা সাথী আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। আর অপর শিশু তোফাজ্জল ইসলাম ও রবিউল ইসলাম সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর সুস্থ হয়। পরে ফাহিমা ও আক্তারের পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি প্রকাশ পায়।

এর পর শিশুদের বাবা সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে স্ত্রী ফাহিমা আক্তারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন।


সর্বশেষ সংবাদ